ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে ভূমিদস্যুর দখলে পাউবোর জমি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৯ মে ২০১৭

চাঁপাইয়ে ভূমিদস্যুর দখলে পাউবোর জমি

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ শহরসংলগ্ন নদীর অপর পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭০০ হেক্টর জমি ভূমিদস্যুদের কবলে রয়েছে। সাম্প্রতিক এই জমির একটি অংশে ইটভাঁটি করা হয়েছে। জমির পরিমাণ ৭০ শতক। দিনদুপুরে ক্ষমতার জোরে বুলডোজার চালিয়ে দখলে নিয়ে তার ওপর ইটভাঁটি সম্প্রসারণ করেছে। পাউবোর স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে জানান ভূমিদস্যুরা খুবই শক্তিশালী। প্রভাব বিস্তার করে সরকারী জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিরুপায় হয়ে পড়েছে। প্রভাবশালীরা প্রথমে জমি লিজ নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে দখলে নিয়ে ইটভাঁটি সম্প্রসারণ করেছে। এখানে পাউবোর স্লুইচ গেট রয়েছে। পরিত্যক্ত দুই ধার উঁচু পাহাড়ের মতো ক্যানেলও রয়েছে। ক্যানেলটিতে প্রথমবার নদীর সঙ্গে স্লুইচ গেট সংযোগ দেয়া হলেও। পরে ভুল ডিজাইনের কারণে অপর একটি ক্যানেল তৈরির মাধ্যমে স্লুইচ গেটটি নির্মাণ করা হয়। সব মিলিয়ে ক্যানেল ও রাস্তার বা বাঁধসংলগ্ন এখানে সাত হাজার হেক্টর জমি রয়েছে পাউবোর। বাঁধের পরিমাণ ৭.২৩ কিলোমিটার। এই ৭০ শতক জায়গা পাউবোর লেবার শ্রেণীর কর্মচারীরা অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে লিজ দিয়েছে ভাঁটি মালিকদের। এই স্থানটি সমতল বানিয়ে এখন কাচা ইট তৈরি করা হচ্ছে। খবর পেয়ে নির্বাহী প্রকৗশলী স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন ভাঁটি মালিকদের। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ভাটা মালিক থেমে নেই। সে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে লেবেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি করে তার সঙ্গে ইটভাঁটিজুড়ে দিয়ে দিব্যি ব্যবহার করছে। এ ছাড়াও স্লুইচ গেটের কাছাকাছি চার শতক জমি দখলে নিয়ে ভূমিদস্যুরা মধ্যস্বত্বভোঙ্গী সেজে দ্বিতীয় পক্ষকে লিজ দিয়েছে। তারা বালু রাখছে এই জমিতে। পাউবো সূত্র নিশ্চিত করেছে ৬.২০ কিলো বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ৯৮টি কাচা-পাকা স্থাপনা রয়েছে। এখন এসব স্থাপনাও পাউবো উচ্ছেদ করতে পারছে না। পাশাপাশি বাঁধের ওপরে শতাধিক বনজ ও ফলদ গাছ রয়েছে। স্থাপনা থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া আদায় ও বিভিন্ন মৌসুমে গাছ বিক্রির টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বর্ষা ও বন্যা মৌসুমসংলগ্ন ক্যানেল ও সøুইচ গেট ব্যবহার করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। এসব থেকে বছরে বয়েক লাখ টাকা উপার্জন করায় ভূমিদস্যুরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) এসব অভিযোগের কোন মন্তব্য না করে তদন্তের আশ্বাস দেন।
×