ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চিঠি চালাচালিতেই আটকে আছে রামনাথপুর স্থলবন্দর

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৯ মে ২০১৭

চিঠি চালাচালিতেই আটকে আছে রামনাথপুর স্থলবন্দর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চিঠি চালাচালিতেই আট বছর ধরে আটকে আছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা রামনাথপুর স্থলবন্দর। ভারতের কয়লা খনি থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে এই বন্দর স্থাপনে প্রথমে ভারত সরকার প্রস্তাব দিলেও, বিভিন্ন দফতরের ফাইল জটিলতায় আটকে আছে বন্দরের কার্যক্রম। রামনাথপুর স্থলবন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি করে দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের। কয়েক বার ভারত বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হলেও কোন সুরাহাই হয়নি। তবে স্থলবন্দরটি চালু হলে সরকারের শত কোটি টাকার রাজস্ব আয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। জানা যায়, ২০০৯ সালে দুদেশের সীমান্ত এলাকায় পরীক্ষামূলক শুরু হওয়ার কথা ছিল নেত্রকোনার কলমাকান্দা রামনাথপুর স্থলবন্দর। বন্দরটি চালু হলে দেশের মেলামাইন সামগ্রী, শুঁটকি মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী, ইট, টেউটিন, নেট মশারির কাপড় রফতানিসহ দুই দেশের পণ্যসামগ্রী আমদানি-রফতানি হতো। কলমাকান্দা এলাকার বিপরীতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কাছাকাছি স্থানে কয়লা খনি থাকায় ভারতই আগ্রহ প্রকাশ করে এই স্থানে স্থলবন্দর স্থাপনের। কিন্তু নানা জটিলতার অজুহাতে বিভিন্ন দফতরে চিঠি চালাচালিতেই আট বছর ধরে আটকে আছে বন্দর চালুর কার্যক্রম। ফলে এ স্থান দিয়ে কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীরা দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে। কলমাকান্দা সীমান্তের রামনাথপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ জানান, ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও বিভিন্ন দফতরের ফাইল জটিলতায় বন্দরের কার্যক্রম আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। রামনাথপুর ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম জানান, এ প্রথম ভারত থেকে স্থলবন্দর করতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে। বন্দরটি চালু হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হতো। শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতো। সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও কলামাকান্দার ব্যবসায়ী নেতা কাউসার আলম মনু জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের প্রস্তাবেও বলা হয়েছে এ স্থলবন্দর চালু হলে বছরে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। তারপরও কোন অজুহাতে এই ফাইল আটকে রাখা হয়েছে কে জানে। কলমাকান্দার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ফখরুল আলম ফিরোজ জানান, এই স্থলবন্দরটি জরুরী চালু করার ব্যাপারে জেলা উন্নয়ন সভায় কথা হয়েছে। এ স্থলবন্দর চালু হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানসহ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান জানান, বন্দরের কাগজপত্র জমা আছে। তবে বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তিনি তা জানেন না।
×