ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইএফআইসি ব্যাংকের রাইট আবেদন শুরু বুধবার

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৯ মে ২০১৭

আইএফআইসি ব্যাংকের রাইট আবেদন শুরু বুধবার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড রাইট আবেদন শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী বুধবার থেকে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত এ কোম্পানির রাইটে আবেদন করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়। আইএফআইসি ব্যাংকের ১আর:১ ভিত্তিতে (বিদ্যমান ১টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি) রাইট শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিটি রাইট শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। ১০ টাকা মূল্যে কোম্পানিটি ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ২১ হাজার ৯০৭টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৫৬৩ কোটি ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৭০ টাকা উত্তোলন করবে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি মূলধনের পর্যাপ্ততা এবং ব্যাসেল ৩-র আলোকে মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪.৩৮ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি আয় ১.৬১ টাকা। এ রাইট ইস্যুর জন্য ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রাইট শেয়ার সংক্রান্ত ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে আইএফআইসি ব্যাংকের পর্ষদ। গেল বছর ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৮১ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ১০ পয়সা। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে ৩ জুলাই বেলা ১১টায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে আইএফআইসি ব্যাংক। এজিএমের রেকর্ড ডেট ছিল ৩ মে। আর চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৫৬ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৫২ পয়সা। ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৫৬৩ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৬৭৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। বাজারে মোট শেয়ার ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ২১ হাজার ৯০৭টি, যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সরকার ৩২ দশমিক ৭৫, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২২ দশমিক ৭২, বিদেশী বিনিয়োগকারী ১ দশমিক ৭৫ ও বাকি ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
×