ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হল ছেড়েছেন জাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ২৮ মে ২০১৭

হল ছেড়েছেন জাবি শিক্ষার্থীরা

জাবি সংবাদদাতা ॥ অনির্দিষ্টকালের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর রোববার সকাল থেকে আবাসিক হল ছাড়তে শুরু করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক জরুরী অফিস আদেশে রোববার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উপাচার্যের বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করাসহ হল খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অফিস আদেশে জানানো হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে হল খালি করার নির্দেশে রাস্তায় বেড়িয়ে যানবাহন সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সকাল সাড়ে ১১টায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ৬ দফা দাবি নিয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে বসে। এসময় তারা হল ছাড়ার নির্দেশ পুর্ন:বিবেচনার দাবি জানালে উপাচার্য তা নাকচ করে দেন। এদিকে, আটক শিক্ষার্থীদের নি:শর্ত মুক্তি দেয়া, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে বেলা ১২ টার দিকে উপাচার্যের সাথে দেখা করেন বামপন্থী ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একটি দল। এসময় শিক্ষকরা সন্ধ্যার মধ্যে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে উপাচার্যকে আল্টিমেটাম দেন। অন্যদিকে, উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুরের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ৭৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এর আগে শনিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় ক্যাম্পাস থেকে ৪২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১২ জন ছাত্রী রয়েছে। উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, স্পিপব্রেকার ও ফুট ওভারব্রিজ নির্মানসহ কয়েকটি দাবিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অবরোধ পালনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে এক সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হন। শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্য বাসভবন ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তেজিত কিছু শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরও চালায়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ৪২ শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
×