ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গণভবনের বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসপিবিএন সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ২৮ মে ২০১৭

গণভবনের বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসপিবিএন সদস্যের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের বাইরে দায়িত্বরত অবস্থায় গুলিতে আতিকুর রহমান নামে পুলিশের স্পেশাল সিকিউরিটি এ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এসপিবিএন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। নিহত নায়েক আতিকুর রহমানের ব্যবহৃত স্বয়ংক্রিয় রাইফেলটি জব্দ করা হয়েছে। সেটির ব্যালিস্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে। নিজ অস্ত্রের গুলিতে আতিকুরের মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হতেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতর ও এসপিবিএনের তরফ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত বারোটার দিকে গণভবনের উত্তর গেটে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুর রহমান। ঘটনার সময় অদূরেই দায়িত্বরত এসপিবিএন সদস্যরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক গণভবনের এসপিবিএনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও পুলিশের অন্যান্য দফতরকেও অবহিত করা হয়। রাত দুটার দিকে হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মিনহাজ উদ্দিন। নিহতের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং গ্রামে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ বাহার। মাতার নাম সুফিয়া বেগম। স্ত্রী শারমীন আক্তার। তাদের দেড় বছর বয়সী তিসি নামের কন্যাসন্তান রয়েছে। শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিক্যালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ জানান, আতিকুর ডান বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। বুলেট সামনে থেকে ঢুকে পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহতের ভাই মাহমুদুল জানান, গ্রামের বাড়িতে তার ভাইকে দাফন করা হবে। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সময় কাছাকাছি পুলিশের এসপিবিএনের এক সহকারী উপপরিদর্শক ছিলেন। তার বক্তব্য শোনা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি ও ঘটনা শুনে আতিকুরের মৃত্যু তার অস্ত্রের গুলিতেই হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি অসাবধানবশত ঘটেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
×