ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রূপগঞ্জে দুই পরিবারে দ্বন্দ্ব

বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট, আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ২৮ মে ২০১৭

বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট, আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৭ মে ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুই পরিবারের মাঝে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালুপাড়াগাঁও এলাকায় ঘটে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়ালুপাড়াগাঁও এলাকার মহিউদ্দিন মেম্বারের পরিবারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফারুকের পরিবারের বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধ নিরসন করতে বেশ কয়েক বছর আগে মহিউদ্দিন মেম্বারের বোন রেহেনার সঙ্গে ফারুকের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তুলি ও বাদশা নামে দুই সন্তানও হয় তাদের সংসারে। কয়েক মাস ধরেই পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে রেহেনার সঙ্গে ফারুকের ঝগড়াঝাটি চলে আসছিল। তাদের স্বামী-স্ত্রীর বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের লোকজনের মাঝে প্রায় সময়ই উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার বিকেলে উভয় পরিবারের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন জহুরা বেগম, জয়নব বানু, তাহমিনা আক্তার হেপি, ফারুক মিয়া, অহিদ মিয়া, মানিক মিয়া, সহিতুন,আলী হোসেন, রেহেনা বেগম, ফরিদা ইয়াছমিন, লামহা, সালাউদ্দিন আহাম্মেদ স্বাধীন। আহতদের মধ্যে তাহমিনা আক্তার হেপি ও আলী হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় একপক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর থেকেই ওই এলাকায় উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে রেহেনা বেগম বলেন, আমার কাছে যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো স্বামী ফারুকসহ শশুর বাড়ির লোকজন। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় প্রায় সময়ই নির্যাতন করতো। নির্যাতন সয্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসায় হামলা চালায় শশুর বাড়ির লোকজন। এর পরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশ) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
×