স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দল যদি শক্তিশালী হয় তাহলে সেই দলের কোচের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দল ভাল করলে কোচ যেন একটু কমই প্রশংসা পান। কিন্তু কোন দল যদি তুলনামূলকভাবে দুর্বল বা আন্ডারডগ হয়, আর সেই দলকে যদি কোন কোচ ভাল অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাবেন অনেক বেশি। এমন প্রশংসার কাজই করেছেন কামাল বাবু। রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে তিনি তার নিজস্ব কোচিং টেকনিক-ট্যাকটিস দিয়ে কাক্সিক্ষত সেমিফাইনালে নিয়ে গেছেন। শনিবার ‘ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ’ ফুটবলের চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ‘আইলো’ এবং ‘ডাইলপট্টি’ খ্যাত পুরনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ ৩-১ গোলে হারায় এ আসরের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সন্ধ্যার এ ম্যাচের প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। আগামী ২ জুন টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে রাত সোয়া ৭টায় রহমতগঞ্জ মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের।
রহমতগঞ্জে তারকা কোন ফুটবলার নেই। তবে তাদের মূল শক্তি কোচ কামাল বাবু। একটা দুর্বল দলকে কিভাবে সাফল্য পাইয়ে দেয়া যায় সেটা কামাল বাবু অনেকবারই প্রমাণ করেছেন। ২০১১ সালে তার কোচিংয়েই স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতেছিল ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। এবারও সেই পথেই এগুচ্ছেন তিনি।
৩২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের উঁচু শটে গোল করেন রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার শাহ্রান হাওলাদার (১-০)। ৬৩ মিনিটে শাহ্রানের লম্বা থ্রু পাস ধরে দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের তীব্র কৌণিক শটে মুক্তিযোদ্ধার জাল কাঁপান রহমতগঞ্জের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা (২-০)। ৬৯ মিনিটে বক্সের ভেতর জটলার মধ্য থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন আবারও সেই শাহ্রান (৩-০)। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে (৯০+৪) বদলি খেলোয়াড় মতিউর রহমান গোল করলে ব্যবধান কিছুটা কমায় মুক্তিযোদ্ধা (১-৩)।
রহমতগঞ্জ হচ্ছে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। পক্ষান্তরে ‘অল রেড’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ। নিজেদের গ্রুপ ম্যাচে রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। এছাড়া গোলশূন্য ড্র করে ব্রাদার্সের সঙ্গে। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে ১-০ গোলে হারায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে। পরের ম্যাচে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের কাছে হেরে যায় ০-১ গোলে।
সর্বশেষ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের প্রথম সাক্ষাতে রহমতগঞ্জ ২-১ গোলে হারিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাকে। পরের মোকাবেলাতেই অবশ্য রহমতগঞ্জকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধটা কড়ায়-গ-ায় নিয়েছিল মুক্তিবাহিনী। গত ফেডারেশন কাপে অবশ্য দু’দলের সাক্ষাত ঘটেনি।