ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সস্তাভাবে ধর্মকে অপব্যবহারের চেষ্টা চলছে ॥ কামাল হোসেন

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৮ মে ২০১৭

সস্তাভাবে ধর্মকে অপব্যবহারের  চেষ্টা চলছে ॥ কামাল হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের স্বার্থে এখন সস্তাভাবে ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন। মোজাফ্ফর আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভার আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। স্মরণসভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে ধর্মের নামে গণহত্যা, ধর্ষণ ও লাখ লাখ মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছিল। এই ধর্মকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সংবিধানে অসাম্প্রদায়িকতার কথা লেখা হয়েছিল। কিন্তু আজ ধর্মকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সভা শেষে ধর্মের অপব্যবহার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ যারা ধর্মের দোহাই দেয়, তাদের মূল্যায়নের জন্য একাত্তরের কথা মনে রাখতে হবে। একাত্তরে ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা গণহত্যা করেছে, তারা কী ধর্মের ছিল? তারা কি ইসলাম বিশ্বাস করত? সেগুলো মনে রাখতে হবে।’ সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘এ নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীদের একটি সম্মেলন হবে। সেখানে যা সিদ্ধান্ত নেয়ার তা নেয়া হবে। তবে পেছনের যে চেষ্টা, আমি মনে করি, আমাদের দেশের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা। তবে কোন বিষয় নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়।’ লেখক ও গবেষক আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক রওনক জাহান, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের জামাতা মির্জা হাসান প্রমুখ। সাবেক আইনমন্ত্রী কামাল হোসেন বলেন, ১৯৫৪ সালে যা আমরা বর্জন করেছিলাম, ২০১৭ সালে ক্ষমতার স্বার্থে সেই ধর্মকে আবার রাজনীতিতে টেনে আনা হচ্ছে। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে উচিত কথা বলা থেকে সরিয়ে রাখা যাবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং মাথা নত না করে অন্যায়কে ‘নো’ বলার শক্তি বাঙালী জাতির ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে এবং বোকা বানাতে আবারও ৭১ সালের মতো ধর্মের অপব্যবহার শুরু হয়েছে। ন্যায়নীতি আর নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপতৎপরতার জবাব দিতে হবে।
×