ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১০ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন ৫৪ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৮ মে ২০১৭

১০ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন ৫৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়িত হয়েছে এডিপির ৫৪ শতাংশ; টাকার অংকে যার পরিমাণ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকার পুরো এডিপি বাস্তবায়ন করতে হলে, ২ মাসে খরচ করতে হবে প্রায় সমপরিমাণ অর্থ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছরের প্রান্তিক সময়ে বেড়ে যায় এডিপি বাস্তবায়নের হার। কাজের এ ধারা নিয়ে সরকার সন্তুষ্ট হলেও রয়েছে সমালোচনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন বড় করে দেখাতেই বছরের শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে অর্থছাড় করা হয়। ফলে মান নিয়ে থাকে প্রশ্ন, মেলে না দীর্ঘমেয়াদী সুফলও। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৩২ শতাংশ। ৪ মাস ব্যবধানে যা গিয়ে ঠেকেছে ৫৪ শতাংশে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছরের প্রান্তিক সময়ে বেড়ে যায় এডিপি বাস্তবায়নের হার; অবশ্য এ হিসাব কেবল অর্থছাড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ; তাতে সংযুক্ত হয় না মাঠ পর্যায়ের বাস্তব অগ্রগতি। অবশ্য কাজের এ ধারাতে সন্তুষ্ট সরকার। অর্থবছরের আর মাত্র ২ মাস বাকি থাকলেও, এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা; একই সময়ে গত বছরে এর পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার। হিসাব বলছে, এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের ৯৬ শতাংশ সূচক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দ্বিতীয় অবস্থানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, যাদের বাস্তবায়নের হার ৮০ শতাংশ। আর শূন্য শতাংশ বাস্তবায়ন নিয়ে এ তালিকার পেছনে অবস্থান সরকারী কর্মকমিশন আর দুর্নীতি দমন কমিশনের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন বড় করে দেখাতেই বছরের শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে অর্থছাড় করা হয়। ফলে মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে, মেলে না দীর্ঘমেয়াদী সুফলও। ওষুধ শিল্পে ন্যূনতম বেতন চার হাজার ৬শ’ টাকা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওষুধ শিল্প খাতের শ্রমিক ও কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন হবে চার হাজার ৬শ’ টাকা। সম্প্রতি সরকার নতুন এই বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছে। ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রমিকদের অদক্ষ, আধাদক্ষ, দক্ষ ও উচ্চতর দক্ষ এই চারটি শ্রেণীতে ভাগ করে বিভাগীয় শহর ও সিটি কর্পোরেশন, জেলা শহর এবং অন্যান্য এলাকার ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। ওষুধ শিল্পে প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত কর্মীদেরও চারটি গ্রেডে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম মজুরি। নতুন বেতন কাঠামোতে ওষুধ শিল্পের গ্রেড-৫-এর একজন অদক্ষ শ্রমিকের ন্যূনতম মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৬শ’ টাকা। অন্যদিকে, গ্রেড-১’র উচ্চতর দক্ষ শ্রেণীর শ্রমিকের মূল বেতন সাত হাজার ৮শ’ টাকা ও আধাদক্ষ শ্রমিকের মূল বেতন ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এর বাইরে দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে তিনটি ক্যাটাগরিতে। দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে দক্ষ-১ ক্যাটাগরির শ্রমিকদের মূল মজুরি ছয় হাজার ৮শ’ টাকা, দক্ষ-২ ক্যাটাগরির শ্রমিকদের জন্য ছয় হাজার ২শ’ টাকা ও দক্ষ-৩ ক্যাটাগরির জন্য মূল মজুরি পাঁচ হাজার ৮শ’ টাকা। ওষুধ শ্রমিকদের নতুন এই বেতন কাঠামো প্রকাশ করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওষুধ শিল্পে একজন শ্রমিকের শিক্ষানবিসকাল হবে তিন মাস। এসময় একজন ওষুধ শিল্প শ্রমিক মাসে সর্বসাকুল্যে ছয় হাজার ৫শ’ টাকা বেতন পাবেন। আর শিক্ষানবিসকালে কর্মচারী পাবেন সাত হাজার টাকা। এছাড়া, ওষুধ শিল্পের নতুন বেতন কাঠামোতে এই শিল্প খাতের সব ক্ষেত্রেই বাড়ি ভাড়া হবে মূল মজুরির ৫০ শতাংশ। আর সব গ্রেড ও সব স্থানের শ্রমিক-কর্মচারীরা ৭শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৬শ’ টাকা যাতায়াত ভাতা পাবেন।
×