ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই বছরের জন্য উৎসে কর প্রত্যাহার চায় বিজিএমইএ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৮ মে ২০১৭

দুই বছরের জন্য উৎসে কর প্রত্যাহার চায় বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী দুই বছর তৈরি পোশাক রফতানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এছাড়া এ শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানায় সংগঠনটি। শনিবার বিজিএমইএ সভাকক্ষে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও আসন্ন বাজেট (২০১৭-১৮) শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ইউরোর দরপতন, ব্রেক্সিট এবং গ্যাস সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এ খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আশানুরূপ ফল পায়নি। ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাপানের বাজারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বাজারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সব মিলিয়ে গত ১০ মাসে নতুন বাজারে রফতানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছর এ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল। এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আগামী ২ বছরের জন্য এই খাতে উৎসে কর প্রত্যাহারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন সিদ্দিকুর রহমান। শিল্পে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব নীতিসহ অন্যান্য সব নীতি কৌশল ৫ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মাদ নাসির এবং মোহাম্মদ হাসান খান বাবুসহ বিজিএমইএ অন্যান্য কর্মকর্তারা। নিয়ম মেনে শেভরনের মালিকানা হস্তান্তরের দাবি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পেট্রোবাংলার নিয়মনীতি মেনেই যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরনকে চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে। আগে যেভাবে ইউনিকল ও অক্সিডেন্টাল তাদের সম্পদ বিক্রি করে দেশ ছেড়েছে, এবার সেরকম সুযোগ যেন শেভরন না পায়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম আজিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আবেদীন। এ সময় সংস্থাটির ঢাকা অফিস ও শেভরনের ৩টি ফিল্ডের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম আজিম বলেন, মালিকানা পরিবর্তন সম্পর্কিত কর্মীদের ঝুঁকি, চাকরির অনিশ্চয়তা, অর্জিত গ্রাচুইটি এবং বঞ্চিত ডব্লিউপিপিএফ (বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিক মুনাফা অংশগ্রহণ তহবিলের ৫ শতাংশ অংশ) এর বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কোম্পানির অংশগ্রহণ এবং অনতিবিলম্বে আশু সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শেভরন বাংলাদেশ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর বন্ধ বা বাধা সৃষ্টি করার জন্য নয় বরং আমরা সরকারের অনুমতি পাবার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ ও কর্মচারীদের সম্ভাব্য কোন নিয়মবহির্ভূত কাজে নিয়োজিত করার বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু এসব করার কারণে আমাদের অবরুদ্ধ করে চাকরিচ্যুতির হুমকি, কর্মস্থল ত্যাগসহ নানাবিধ মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন আমাদের কোন কর্মীকে যদি চাকরিচ্যুতি করা হয় তবে আমরা কঠোর পদক্ষেপ হাতে নেব। উল্লেখ্য, শেভরন চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে তাদের বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝেনহুয়া অয়েল ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সিএনআইসি কর্পোরেশনের কনসোর্টিয়ামই হলো হিমালয় এনার্জি।
×