ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়মিত কফিপান ঝুঁকি কমায় লিভার ক্যান্সারের

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ২৮ মে ২০১৭

নিয়মিত কফিপান ঝুঁকি কমায় লিভার ক্যান্সারের

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিমুক্ত থাকতে দিনে দুই কাপ কফি খাওয়ার কথা বলেছেন গবেষকরা। সম্প্রতি সাউদাম্পটন ও এডিনবরা ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক প্রায় ২২ লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত ২৬ ধরনের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। গবেষকগণ তাদের পরিচালিত জরিপে দেখেছেন, যারা দিনে বেশি পরিমাণে কফি খায় তাদের মধ্যে লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক উপাদান হেপাটো সেলুলার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তাদের মতে দিনে মাত্র দুই কাপ কফি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি তিনভাগের একভাগ এবং পাঁচ কাপ কফি অর্ধেকে কমিয়ে আনতে সক্ষম। সে জন্য এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার হায়েস, কফিকে একটি অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিএমজে জার্নাল ওপেন এ বলা হয়েছে, যারা মোটেই কফি খান না এবং যারা দিনে মাত্র একবার করে খান তাদের মধ্যেও বিস্ময়কর পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। দিনে এক কাপ কফি খাওয়া ব্যক্তির লিভার ক্যান্সারের উপাদান বৃদ্ধির ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। সাউদম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ গবেষক ডক্টর অলিভার কেনেডি বলেন, সর্বশেষ সমীক্ষা দেখা গেছে কফি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিস্ময়করভাবে কার্যকর শক্তি। সেই সঙ্গে ডক্টর কেনেডি বলেন, তার মানে এই নয় যে, আমরা এখনই সবাইকে প্রতিদিন পাঁচ কাপ কপি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবেÑ বিশেষ করে গর্ভবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে কফিতে রক্ষিত ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি হলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অধ্যাপক পিটার হায়েস বলেন, শুধু লিভার নয় অন্য আরও ক্ষতিকর উপাদান থেকে শরীরকে সুরক্ষা দিতে কফি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ লিভার ট্রাস্টের নির্বাহী প্রধান এন্ড্রু ল্যাংফোর্ড বলেন, লিভারের ক্ষতিকর উপাদান ধ্বংসে কফি অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হলেও এ্যালকোহল বা মদ্যপানের পরিমাণ কমিয়ে না আনলে, শরীর ওজন না কমালে, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ না করলে কফি খাওয়ার কাক্সিক্ষত সুফল নাও পাওয়া যেতে পারে। -টেলিগ্রাফ
×