ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানিতে ধোয়া হচ্ছে রাজধানীর লন্ড্রির কাপড়

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২৭ মে ২০১৭

বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানিতে  ধোয়া হচ্ছে রাজধানীর  লন্ড্রির কাপড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানিতে ধোয়া হচ্ছে রাজধানীর লন্ড্রির কাপড়। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত কাপড়ও ধোয়া হচ্ছে সেখানে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিকর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা চিকিৎসকদের। সূর্য ওঠার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন লন্ড্রি দোকান থেকে রিক্সায় করে আনা কাপড়ের স্তূপ জমা হতে থাকে বুড়িগঙ্গার তীরে। এরপর দিনভর এই ময়লা, আবর্জনাযুক্ত পানিতে চলতে থাকে ধোয়ার কাজ। মানুষের ব্যবহৃত শার্ট-প্যান্ট থেকে শুরু করে বাসা-বাড়ির বিছানার চাদরসহ সব ধরনের কাপড়ই ধোয়া হচ্ছে বুড়িগঙ্গার এই দূষিত পানিতে। শুধু লন্ড্রির কাপড় নয়, কয়েকটি হাসপাতাল থেকে আসা কাপড় ধোয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। অপারেশন থিয়েটারের মতো স্পর্শকাতর কাজে ব্যবহৃত কাপড়গুলো ধোয়ার পর আবার শুকানো হচ্ছে মাটিতে ফেলে। লড্রির কাপড় ছাড়াও অনেকেই বুড়িগঙ্গার পানিতে শুধু হাসপাতালের কাপড় ধোয়ার কাজ করছেন বছরের পর বছর ধরে। হাসপাতালের রক্তমাখা বিছানার চাদর এবং নার্সদের ব্যবহৃত বেশ কিছু এপ্রোনও ধুতে দেখা গেছে। এগুলো প্রতিনিয়ত ধোয়া হচ্ছে বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই জীবাণুবাহী এসব কাপড় একদিকে যেমন নদী দূষণের মাত্রা যোগ করছে অন্যদিকে বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁঁকিও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম এ্যালার্জি ও কসমেটিক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘আইডিয়া হলো অপরিষ্কার কাপড়কে পরিষ্কার করবেন। বুড়িগঙ্গাতে কাপড় ধোয়ার ফলেত আরও অপরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।’ বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী কামরাঙ্গীরচর এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুরান ঢাকার বেশিরভাগ লন্ড্রি দোকানের কাপড়ই চুক্তিতে ধোয়া হয় এখানে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এর ক্ষতিকর প্রভাব পুরো রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
×