ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনেকে সালমানের জঙ্গী সম্পৃক্ততার জন্য গাদ্দাফির উৎখাতকে দায়ী করেন

ব্রিটেনে হামলার পর অস্বস্তিতে লিবীয় কমিউনিটি

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২৭ মে ২০১৭

ব্রিটেনে হামলার পর অস্বস্তিতে লিবীয় কমিউনিটি

ম্যানচেস্টার হামলায় নিজেদের দেশের নাগরিক সালমান আবেদির জড়িত থাকার খবরটি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত লিবীয়দের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। ম্যানচেস্টারের লিবিয়ান কমিউনিটি জানিয়েছে, এ খবরে তারা মর্মাহত ও বিস্মিত। কেন এবং কিভাবে সালমান জঙ্গী তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তরও খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের কাছে এ ঘটনা নিয়ে তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার। ২২ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী এ্যারিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে চালানো ওই হামলায় ২২ জন নিহত আর ৬৪ জন আহত হয়। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা স্থগিত হয়ে যায়। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে সারাবিশ্বে। প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা সূত্র দাবি করে, এটা এক ব্যক্তির সংঘটিত হামলা। তবে মঙ্গলবার সেই অবস্থান থেকে সরে তারা হামলায় একাধিক মানুষের জড়িত থাকার সন্দেহের কথা জানায়। আত্মঘাতী হামলাকারীকে সালমান আবেদি হিসেবে শনাক্ত করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। লিবীয় বংশোদ্ভূত ২২ বছরের তরুণ সালমান। হামলার পর শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ সংবাদপত্র দাবি করেছিল, সালমান যে ডিডসবুরি মসজিদে প্রায়ই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে নামাজ পড়তে যেত, সেখানকার ইমাম তাকে সন্দেহ করতেন। সালমানের আইএসের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে বলে টের পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ইমাম এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। অবশ্য, পরে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ফাঁসকৃত তথ্যে জানা যায়, ম্যানচেস্টারের লিবীয় কমিউনিটি ব্রিটিশ নিরাপত্তা বাহিনীকে সালমানের আইএস সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছিল। সালমানকে নিয়ে কমিউনিটি আগে থেকে কিছু আঁচ করতে পেরেছে কিনা কিংবা তা প্রতিরোধে কমিউনিটির লোকজন কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা- আল জাজিরার পক্ষ থেকে তা জানতে চাওয়া হয়। এদের মধ্যে, ডিডসবুরি মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন এমন লোকজনও ছিল। তারা জানান, বাবা রমজানের সঙ্গে প্রায়ই ডিডসবুরি মসজিদে আসতো সালমান। আলি মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ম্যানচেস্টারের লিবীয় কমিউনিটি খুব ঘনিষ্ঠ।
×