ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাভার ও কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ ॥ অস্ত্র গুলি উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৭ মে ২০১৭

সাভার ও কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ ॥ অস্ত্র  গুলি উদ্ধার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সাতক্ষীরা, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে তিনটি পৃথক ঘটনায় নৌ পুলিশসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। সাভারে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক বিক্রেতা এবং মহেশখালীতে দুটি সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে একব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সুন্দরবনে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করে ফেরার পথে নিজ বন্দুকের গুলিতে নৌ পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঘটনা তিনটি ঘটেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানোÑ জানা গেছে, সাভারে পুলিশের সঙ্গে ‘কথিত’ বন্দুকযুদ্ধে মোক্তার হোসেন মুক্তি (৪৫) নামে পুলিশের তালিকাভুক্ত এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পুলিশের আরও দুই সদস্য। মুক্তি পৌর এলাকার ছোট বলিমেহের গ্রামের আখতার হোসেনের ছেলে। শুক্রবার ভোরে সাভার মডেল থানাধীন বিরুলিয়া এলাকায় মুক্তিকে নিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তি সপ্তাহখানেক আগে মাদক মামলায় ৩ মাস জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসে। মুক্তির বিরুদ্ধে থানায় ডজনখানেক মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশের দাবি, পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার মাদকসম্রট মুক্তিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার ভোরে বিরুলিয়া ইউনিয়নে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় মুক্তি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালীন পুলিশের দুই সদস্যও আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার ॥ মহেশখালীতে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে হোয়ানক হরিয়ারছড়া থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। সে কালাগাজির পাড়ার নূরুল হক ভেট্টার পুত্র। মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, হোয়ানকের কালাগাজির পাড়ার দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর (জালাল বাহিনী ও আয়ুব আলী বাহিনী) মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে এনাম (৩২) নামে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ, তিনটি বন্দুক এবং ১৫টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। ওসি জানান, নিহত এনাম আইয়ুব বাহিনীর সদস্য। তার বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সাতক্ষীরা ॥ সুন্দরবনে বনদস্যুদের কবল থেকে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করে ফেরার পথে নিজ বন্দুকের গুলিতে মিয়ারাজ হোসেন (৩২) নামে নৌ পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কনস্টেবল মিয়ারাজের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবনের বসুখালী খালে অভিযানে যায় বিজিবি ও নৌ পুলিশের সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর একটি দল। সেখান থেকে বনদস্যুদের কবল থেকে একটি নৌকা ও চার জেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তারা। উদ্ধারকৃতদের কৈখালী ফরেস্ট অফিসে সোপর্দ করে ফেরার পথে ট্রলারে উঠছিলেন কনস্টেবল মিয়ারাজ। এ সময় নিজের হাতিয়ারটি ট্রলারে রেখে তার ওপর ভর করে উপরে উঠছিলেন তিনি। হঠাৎ তার বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে বুকের বামপাশে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। রায়নগর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মন্টু কুমার দাশ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
×