ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৭ মে ২০১৭

আগামীকাল শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। শুক্রবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তারা জানায় শুক্রবার দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস গণনা। একইসঙ্গে ২২ জুন রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর উদযাপিত হবে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বায়তুল মোকাররম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মাহে রমজানের তারিখ নির্ধারণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। দেশের আকাশে রমজানের চাঁদ দেখার বিষয়টি পর্যলোচনা করে তারা এ সিদ্ধান্ত জানান। ধর্মমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। রবিবার থেকে রমজান মাস শুরু হবে। সভায় ১৪৩৮ হিজরি সালের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায়, আজ শনিবার শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামীকাল রবিবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা করা হবে। এই প্রেক্ষিতে আগামী ২২ জুন বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উদযাপিত হবে। এদিকে রমজান মাসে খতম তারাবি পড়ার সময় সারাদেশে সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বলা হয়েছে, রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত না করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোন কোন মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে কর্মজীবী যারা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন, তাদের পক্ষে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে, অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতম করা সম্ভব। এর আগে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম, পীর-মাশায়েখ, খতিব-ইমামদের সঙ্গে আলোচনা হলে তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন এবং সে মোতাবেক অধিকাংশ মসজিদে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় দেশের সকল মসজিদে খতম তারাবিতে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরে কোরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসলিম এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
×