ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ২৬ মে ২০১৭

সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের সামনে থেকে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণের কাজ শুরু হয় গভীর রাতে। রাত দেড়টা পর্যন্ত ভাস্কর্য অপসারণের কাজ চলছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আকস্মিকভাবে আলোচিত এই ভাস্কর্যটি অপসারণের কাজ শুরু হয়। রাত সাড়ে বারোটার দিকে ভাস্কর্যের পায়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে শ্রমিকেরা। প্রথমে ৫ থেকে ৬ জন শ্রমিক অপসারণ কাজে অংশ নিলেও ধীরে ধীরে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বাড়ে আঘাতের তীব্রতা। এ সময় হাইকোর্টের সামনে সর্বসাধারণের ভিড় বাড়তে থাকে। অপসারণ কাজ চলতে থাকা মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঘোষণা দিয়ে অনেকেই হাইকোর্টোর সামনে জড়ো হয়। অপসারণ কাজে উপস্থিত থাকলেও ভাস্কর্যের ভাস্কর মৃণাল হক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক পতিক্রিয়া ভাস্কর মৃণাল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ভাস্কর্যটি সরিয়ে তা এনেক্স বিল্ডিংয়ের সামনে স্থাপন করা হতে পারে। এর আগে লালনের ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। সরকার এটি নিয়ে চুপ। কেউ কথা বলেনি। বলতে গেলে বিপদ। রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে একটি ভাস্কর্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়। এর পর থেকে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন এর বিরোধিতায় নামে। হেফাজত এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে ৫ মে মতিঝিলে ফের সমাবেশের হুমকি দেয়। ওলামা লীগও তা অপসারণের দাবি জানায়। এরপর ১১ এপ্রিল হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন এক দল ওলামার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাস্কর্যটি সরাতে পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রতি দেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই প্রতিশ্রুতিতে ক্ষুব্ধ হয় মুক্তমতের মানুষেরা। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে একদল। সারাদেশে সমালোচনায় পড়ে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্য অপসারণ কাজ শুরু হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল ১০টায় মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে।
×