ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাইব্রেকার ভাগ্যে সেমিতে চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৬ মে ২০১৭

টাইব্রেকার ভাগ্যে সেমিতে চট্টগ্রাম আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৯০ মিনিটের লড়াইয়ের পরও কেউ জেতেনি। তারপর ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের মোকাবেলাতেও উভয় দল জয়শূন্য। অগত্যা খেলার ফল নিষ্পত্তিতে আশ্রয় নিতে হলো টাইব্রেকার নামের ভাগ্য পরীক্ষায়। আর তাতে জয়ী হয়েছে বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডই। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ’ ফুটবলের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচে তারা টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারায় এ আসরের ২০১২ সালের শিরোপাধারী শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডকে। টাইব্রেকার শুরুর আগ পর্যন্ত খেলা ড্র ছিল ১-১ গোলে। টাইব্রেকারে গোল করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর এলিসন উদুকা, মাসুক মিয়া জনি, সোহেল রানা এবং তৌহিদুল আলম সবুজ। শেখ রাসেলের গোলদাতা দাউদা সিসে এবং বিশ^নাথ ঘোষ। মিস করেন রাসেলের উত্তম কুমার বণিক এবং ফজলে রাব্বি (দুজনের শটই উড়ে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে)। যে উদ্দেশে রাসেলের গোলরক্ষক বিপ্লব ভটাচার্য্যকে টাইব্রেকারের জন্য নিয়মিত গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয়, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। জ্যৈষ্ঠের ভয়াবহ গরমে যেখানে অল্পতেই শরীর ঘেমে-নেয়ে অস্থির হয়ে যায়, সেখানে ১২০ মিনিটের ফুটবল খেলেছে আবাহনী-রাসেল। এ প্রসঙ্গে গ্যালারিতে খেলা উপভোগ করতে আসা এক দর্শকের রসিক মন্তব্য, ‘দুই দল হাড্ডি খেয়ে হাড্ডহাড্ডি লড়াই করেছে।’ হ্যাঁ, পুরো খেলাতেই দু’দল খেলেছে সমানতালে। গোলেও ছিল তাদের সমতা। ম্যাচের ১০ মিনিটে রাসেলকে গোল করে এগিয়ে দেন সাত নম্বর জার্সিধারী মিডফিল্ডার খালেকুজ্জামান। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক নেন ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু। বক্সে বল পেয়ে হেড করেন নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার এলিটা বেনজামিন। সেই বল বুঝে নিয়ে আচমকা শটে বল জালে জড়ান খালেকুর (১-০)। গোল খেয়েই যেন তেতে ওঠে আবাহনী। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই সমতা এনে ফেলে তারা। উইঙ্গার-অধিনায়ক জাহিদ হোসেন চমৎকার গোল করেন সমতায় ফেরান চট্টগ্রাম আবাহনীকে (১-১)। মজার ব্যাপার খালেকুরের মতো জাহিদেরও জার্সি নম্বর সাত। ১৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আবারও বক্সে বল পাঠিয়েছিলেন জাহিদ। কিন্তু বল বাইরে পাঠিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন রাসেলের ডিফেন্ডাররা। ৩০ মিনিটে বাঁপ্রান্ত থেকে জাহিদের ফ্রি কিক রাসেলের রক্ষণ দেয়ালে লাগায় হালে জল পায়নি আবাহনীর গোলপ্রচেষ্টা। ৫০ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেক জাহিদের ক্রস বক্সে লাফিয়ে উঠে হেড নেন ফরোয়ার্ড ওলাদিপু। কিন্তু ততক্ষণে তাকে ঘিরে ধরেছেন রাসেলের তিন ডিফেন্ডার। ফলে বলে মাথা লাগাতে পারেননি এই নাইজিরিয়ান। ৪৬ মিনিটে ওলাদিপু বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে লেগে গতিপথ বদলে বল চলে যায় বাইরে। গ্রুপের দুটি ম্যাচ জিতেই কোয়ার্টারে আসে চট্টগ্রাম আবাহনী। তারা হারায় মোহামেডান ও আরামবাগকে। পক্ষান্তরে শেখ রাসেল প্রথম ম্যাচে ফরাশগঞ্জকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচ টাইব্রেকারে হারে শেখ জামালের কাছে। দু’দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল গত প্রিমিয়ার লীগের দ্বিতীয় পর্বে। ম্যাচটি ড্র হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। লীগের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-১ গোলে হারিয়েছিল ব্লুজদের। গত ফেডারেশন কাপে দুই দলের সাক্ষাত হয়েছিল গ্রুপ পর্বে। সেই ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। এছাড়া স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী টাইব্রেকারে হারিয়েছিল রাসেলকে।
×