ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার হার ৭২ রানে

দারুণ জয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৬ মে ২০১৭

দারুণ জয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দারুণ প্রস্তুতির সুযোগ। বিশ্বসেরা ওয়ানডে দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবেলার সুযোগ পেয়েছে ইংল্যান্ড। আর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে মর্যাদার আইসিসি টুর্নামেন্টটির আগে নিজেদের অবস্থানটা আরও দৃঢ় করার সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার। এ দু’দলের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শুরুতে অবশ্য ইংল্যান্ডই জিতেছে। হেডিংলিতে বুধবার রাতে তারা ৭২ রানের সহজ জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে। বরাবরের মতোই স্নায়ুচাপের ম্যাচে ভেঙ্গে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। আগে ব্যাট করে অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৫ ওভারে ২৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া ইনিংস। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। টস জিতে আগে ফিল্ডিং, এবি ডি ভিলিয়ার্সের সিদ্ধান্তটা ফলপ্রসূ করেছিলেন পেসার ওয়েন পারনেল ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। তিনি ফিরিয়ে দেন ওপেনার জেসন রয়কে (১)। তবে এরপর দারুণ ব্যাটিং করেছেন এ্যালেক্স হেলস ও জো রুট। বিশেষ করে হেলস ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। মাত্র ৯৫ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন তারা। প্রাথমিক বিপদটাও কাটিয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। হেলস ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি হাঁকিয়ে ৬০ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬১ রান করে ফিরে যান। পেস অলরাউন্ডার আন্দিলে ফেলুকোয়াওয়ে জোড়া আঘাত হেনে হেলসের পর ফেরান ৫১ বলে ৩৭ রান করা রুটকে। তবে বিপদটা টের পেতে দেননি মরগান ও বেন স্টোকস। ৬৮ রানের জুটি গড়েন তারা। স্টোকস ২৫ রান করে আউট হলেও মরগান ছিলেন দুরন্ত। পরের সঙ্গী হিসেবে জস বাটলার (৭) বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে মরগান-মঈন আলী ১১৭ রান যোগ করেন মাত্র ৮১ বলে। এতে করেই রানের পাহাড়ে ওঠে ইংল্যান্ড। মরগান ক্যারিয়ারের ১১তম শতক হাঁকান। তিনি ৯৩ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় যখন ১০৭ রান করে সাজঘরে ততোক্ষণে তিন শ’ পেরিয়ে গেছে ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় তারা। মঈন তা-ব চালিয়ে ৫১ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ফেলুকোয়াওয়ে এবং ক্রিস মরিস দুটি করে উইকেট নেন। বিশাল সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে বেশি রান পায়নি প্রোটিয়ারা। দলীয় ৩৩ রানে ফিরে গেছেন কুইন্টন ডি কক (৫)। শুরু থেকে ক্রিস ওকস দারুণ বোলিং করছিলেন। তবে দারুণ লড়ে ১১২ রানের জুটি গড়েন হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসিস। উভয়ে অর্ধশতক হাঁকান। আমলা ৭৬ বলে ৮ চারে ৭৩ রান করে আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি প্লেসিসও। তিনি ৬১ বলে ৮ চারে ৬৭ রান করে ফিরে যান। এরপর শুধু ইংলিশ বোলারদের জয়-জয়কার। ভিলিয়ার্স কিছুটা লড়াই করেছেন। তিনি ৩৮ বলে ৭ চারে ৪৫ রান করে ফেরার পর আর কেউ ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর ওকসের সঙ্গে বল হাতেও জ্বলে ওঠেন মঈন। শেষ পর্যন্ত ৫ ওভার বাকি থাকতেই ২৬৭ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া ইনিংস। ওকস ৩৮ রানে ৪টি এবং মঈন ও আদিল রশিদ দুটি করে উইকেট নেন। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড ইনিংস- ৩৩৯/৬; ৫০ ওভার (মরগান ১০৭, মঈন ৭৭*, হেলস ৬১, স্টোকস ২৫; ফেলুকোয়াওয়ে ২/৫৯, মরিস ২/৬১)। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস- ২৬৭/১০; ৪৫ ওভার (আমলা ৭৩, প্লেসিস ৬৭, ভিলিয়ার্স ৪৫; ওকস ৪/৩৮, মঈন ২/৫০, আদিল ২/৬৯)। ফল ॥ ইংল্যান্ড ৭২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মঈন আলী (ইংল্যান্ড)। সিরিজ ॥ তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
×