ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেএমবির সাবেক প্রধান সাইদুরের সাড়ে ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৬ মে ২০১৭

জেএমবির সাবেক প্রধান সাইদুরের সাড়ে ৭ বছরের জেল

কোর্ট রিপোর্টার ॥ জেএমবির সাবেক প্রধান মাওলানা সাইদুর রহমান ওরফে জাফরসহ তিন আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সাত বছর ছয় মাসের কারাদ- দিয়েছে আদালত। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর দুই আসামি আবদুল্লাহ হেল কাফী এবং তার স্ত্রী আয়শা আক্তার পলাতক রয়েছেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে প্রচার চালানোর দায়ে তিন আসামির সবাইকে ৭ বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হলেও রাষ্ট্রপক্ষ তা প্রমাণ করতে না পারায় ওই ধারার অভিযোগ থেকে তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। রায়ে বলা হয়েছে, আসামিদের দুই ধারার সাজা পরপর খাটতে হবে। অর্থাৎ তাদের মোট সাত বছর ছয় মাস জেলে কাটাতে হবে। কিন্তু তাদের হাজতবাসকালীন সময়ও সাজা খাটা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে ঠিক সাত বছর আগে এই দিনে গ্রেফতার হওয়া সাইদুরকে সাজা খাটতে হবে আর ছয় মাস। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, হাদিস-কোরান সম্পর্কে সঠিক অভিজ্ঞতা থাকার পরও আসামিরা তার সঠিক ব্যাখ্যা না করে মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে লিফলেট প্রচার করেছে। আগেও জেএমবি কর্মীদের এ ধরনের কর্মকা- আমরা দেখেছি। এ কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হলো। ২০১০ সালের ২৫ মে ঢাকার দনিয়া নূর মসজিদের কাছে একটি বাড়ি থেকে সাইদুরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তাদের কাছে উগ্র মতবাদের বই ও সরকারবিরোধী প্রকাশনার কাগজপত্র পাওয়া যায়। এরপর দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ এনে ঢাকার কদমতলী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০০৭ সালে শায়খ আবদুর রহমানসহ জেএমবির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পর হবিগঞ্জের সাবেক জামায়াত নেতা মাওলানা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয় নিষিদ্ধ এ জঙ্গী সংগঠন। এ মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মাওলানা সাইদুরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শিবগঞ্জ থানা, কদমতলী থানায় আরও মামলা রয়েছে। এছাড়া অপর একটি মামলায় ২০ বছরের কারাদ- রয়েছে তার। আর আবদুল্লাহ হেল কাফী জামালপুর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিচারের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ মামলায় তা না হওয়ায় বিচার মাঝপথে আটকে যায়। অনুমোদনের জন্য ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নথিপত্র পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে। গতবছর ২৬ আগস্ট অনুমোদন পাওয়া গেলে নতুন করে গতি পায় এ মামলার কার্যক্রম। এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ জানুয়ারি পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র নতুন করে আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগ গঠন করেন।
×