ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গভীর রাতে রাজশাহী বাস টার্মিনাল রণক্ষেত্র ॥ আহত ১০

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৬ মে ২০১৭

গভীর রাতে রাজশাহী বাস টার্মিনাল রণক্ষেত্র ॥ আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১টার দিকে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গুলি বিনিময় ও বোমা বিস্ফোরণে নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় তিন নির্বাচন কমিশনার ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয় সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন। ছিনতাই করা হয় ব্যালট পেপার। পরে পুলিশ গিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় একটি বিআরটিসির বাসও ভাংচুর করা হয়। ভোট গণনার আগেই এ সংঘাতের কারণে স্থগিত করা হয়েছে ফলাফল। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ভোট গণনা শুরুর আগেই শ্রমিকদের এক পক্ষ কেন্দ্রে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অপর পক্ষ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ফুটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। ব্যাপক বোমাবাজিও করে শ্রমিকরা। সংঘর্ষের সময় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাডভেকেট অঙ্কুর সেনসহ তিন কমিশনার আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তিন নির্বাচন কমিশনারকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোট গ্রহণের পর ব্যালট পেপার বাছাই শেষ হয় রাত ১টার দিকে। বাছাইয়ের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কে নির্বাচিত হচ্ছেন তা অনেকটায় নিশ্চিত হন প্রার্থীরা। বাছাই শেষে ভোট গণনা শুরু হলে সভাপতি প্রার্থী কামাল হোসেন রবির সমর্থকরা সেখানে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুরো টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ছবি তুলতে গেলে এটিএন বাংলার রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটনকে লাঞ্ছিত করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভাংচুর করা হয়।
×