ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেনজির আবরার

ক্রিস কর্নেল চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৫ মে ২০১৭

ক্রিস কর্নেল চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়

বাংলাদেশের অনেকেরই প্রিয় গায়ক। অনেকের প্রিয় সাউন্ডগার্ডেনের ক্রিসকে, কারও প্রিয় অডিওসেøভের ক্রিস কর্নেলকে। সবার প্রিয় ক্রিস কর্নেল হঠাৎ তৈরি করেছেন একটি শোকের আবহ, শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ। তিনি চলে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাউন্ডগার্ডেন ও অডিওসেøভ ব্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক ক্রিস কর্নেল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে শিল্পীর প্রয়াণে। যুক্তরাষ্ট্রের এই গায়কের স্ত্রী ভিকি ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ক্রিসের হঠাৎ মৃত্যুতে হতবাক হয় গেছেন। পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য মেডিক্যাল পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জেমস বন্ড সিরিজের ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ ছবির ‘ইউ নো মাই নেম’ গানের জন্য তিনি খুবই বিখ্যাত। ‘দ্য বিটল’-এর হাত ধরে সঙ্গীত দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে ক্রিস কর্নেলের। আশির দশকের শুরুতে ‘দ্য শেম্পস’ নামের একটি ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন। তাদের সঙ্গে সিয়াটলে বেশকিছু অনুষ্ঠান করেছেন। ‘দ্য শেম্প’ ভেঙ্গে যাওয়ার পর ব্যান্ডের গিটারিস্ট কিম থায়িল এবং বেসিস্ট হিরো ইয়ামামোতোকে নিয়ে ১৯৮৪ সালে ‘সাউন্ডগার্ডেন’ তৈরি করেন ক্রিস। ১৯৮৮ সালে তাদের প্রথম এ্যালবাম ‘আলট্রামেগা ওকে’ প্রকাশিত হয়। যার জন্য ১৯৯০ সালে ‘বেস্ট মেটাল পারফরমেন্স’ বিভেগে গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল ‘সাউন্ডগার্ডেন।’ গ্রাঞ্জ ব্যান্ড হিসেবে ‘সাউন্ডট্র্যাক’ই প্রথম ‘এ এ্যান্ড এম রেকর্ডস’-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। শুধু আমেরিকাতেই ১০টি এ্যালবাম বিক্রি করেছিল ‘সাউন্ডট্র্যাক’। মোট ৯ বার গ্রামির জন্য মনোনীত হয়ে দু’বার জয়ী হয়েছিল। মনোমালিন্যের জেরে ১৯৯৭ সালে ‘সাউন্ডট্র্যাক’ ভেঙ্গে গেলে সোলো কেরিয়ারে মন দেন ক্রিস। রিক রুবিনের রক ব্যান্ড ‘অডিওসেøভ’-এ যোগ দেয়ার আগে ‘ব্যান্ড ইলেভেন’-এর এ্যালেন জোহানেস এবং নাতাশা স্নেইডারের সঙ্গে মিলে তার ‘ইউফওরিয়া’ এ্যালবাম তৈরি করেন ক্রিস। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সেটি। সেই প্রথমবার একা অনুষ্ঠান করতে বেরোন তিনি। ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ৭ মার্চ দীর্ঘ সাত মাস ধরে মোট ৬১টি অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি। ‘অডিওসেøভ’-এ যোগ দেয়ার পর ২০০২ সালে প্রথম এ্যালবাম ‘অডিওসেøভ’ মুক্তি পায়। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় তাদের দ্বিতীয় এ্যালবাম ‘আউট অব এক্সাইল।’ এই সময়ে নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ক্রিস। রিহ্যাবে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন তিনি। ২০১০ সালে ফের জোড়া লাগে ‘সাউন্ডট্র্যাক।’ ২০১২ সালে তাদের ‘কিং এ্যানিম্যাল’ এ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল। গত এক বছর ধরে নতুন গানের প্রতি চলছিল। তাদের সঙ্গেই সম্প্রতি অনুষ্ঠান করতে বেরিয়েছিলেন ক্রিস।
×