ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সব্যসাচী দাশ

মিথিলার পথ চলা

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৫ মে ২০১৭

মিথিলার পথ চলা

মিথিলা, আমাদের বিনোদন দুনিয়ায় যিনি অনন্য গুণী শিল্পী ও মানুষ হিসেবে পরিচিত। নাচ, গান, অভিনয় এবং পেশাগত জীবনÑ সব ক্ষেত্রেই তিনি উজ্জ্বল। তার একাধিক পরিচয় থাকলেও, অভিনেত্রীর পরিচয়টা বেশি পরিচিত। মিথিলা কিন্তু বছরজুড়ে টিভি পর্দায় নিয়মিত থাকে না, থাকেন বছরের বিশেষ সময়ে বিশেষ আয়োজনে। যে কারণে ঈদ-উল-ফিতর বা ঈদ-উল-আযহায় তাকে টিভি পর্দায় খ- নাটক বা টেলিফিল্মে একাধিক চ্যানেলে দেখা যায়। এ রকমই দেখা গেছে গত কয়েক বছর ধরে, দর্শকরা তাকে এভাবেই দেখে আসছে। তবে মাঝে মধ্যে টিভি বিজ্ঞাপনেও তাকে দেখা যায়। এ মাসের শেষে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস এবং সামনের মাসে অপেক্ষা করছে ঈদ-উল-ফিতর। যে কারণে চলছে ঈদে বিনোদনের নানা আয়োজনের প্রস্তুতি। চলছে ঈদ নাটকের বিশেষ নাটকের প্রস্তুতি। জানা গেছে পেশাগত কাজের জন্য মিথিলা কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে শেষ করেছে ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ নাটকের কাজ। সহশিল্পী ছিলেন সজল ও উর্মিলা। এ ছাড়া তার হতে আছে একাধিক নাটকের কাজ। যেগুলোর গল্প কিছু ব্যতিক্রম। মিথিলা বলেন, একটু দেরিতে হলেও বেশ ভালভাবেই নাটকের কাজ শুরু করেছি। আসা করি সব ঠিক থাকলে এবারের ঈদে দর্শকরা আমাকে গেল ঈদের তুলনায় বেশি সংখ্যক নাটকে দেখতে পাবেন। কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, মাবরুর রশীদ বান্নাহ, মিজানুর রহমান আরিয়ানের নাটকে দেখা যাবে তাকে। অপূর্ব, জন এবং নতুন অভিনেতার বিপরীতে দর্শক দেখতে পাবে মিথিলাকে। মিথিলা বলেন, অফিস, সংসার এবং নাটকের কাজের চাপে হয়ত হাতে পাওয়া সব স্ক্রিপের কাজ হয়ত শেষ করতে পারব না। আসলে মিথিলা একজন পরিশ্রমী মানুষ। সব দিক ম্যানেজ করে মিডিয়ার জন্য কাজ করা সত্যই কর্মোঠ মানুষের তালিকায় তাকে আসীন করে। ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যা সন্তানের জননী তিনি। স্বামী নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। গান কিংবা মিডিয়ায় আগমন স্বামীর হাত ধরে। এক সাক্ষাতকারে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময়ে ব্ল্যাকে মেইন ভোকাল তাহসানের বাসায় এক বন্ধুর ছোট ভাইয়ের জন্য আনতে গিয়ে মিউজিক এবং ব্যান্ড দল নিয়ে আলোচনার সময় তাহসানের মনে ধরে মিথিলাকে। ভাল লাগার এক পর্যায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের ভালবাসার ‘হ্যাপি এন্ডিং’ ঘটে। এ যাবত মিডিয়ায় তিনি যতটুকু সরব তা মূলত বিয়ের পরেই ঘটেছে। তিনি ছিলেন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার। এই পেশায় থেকেই নাটক টেলিফিল্মে তার পদার্পণ। মিথিলা এখন আন্তর্জাতিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের কর্মকর্তা। বাংলাদেশ, সিয়েরালিয়ন, আফগানিস্তান, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করছেন। যে কারণে তাকে প্রায়শ দেশের বাইরে যেতে হয়। রোমান্টিক প্রেমের গল্প, সঙ্গে তার মিষ্টি অভিনয় ইতোমধ্যে দর্শক হৃদয়ে বেশ ভালভাবেই দাগ কেটেছে। ঈদ এলেই দর্শকরা অপেক্ষায় থাকেন তার নাটকের জন্য। সবকিছু মিলিয়ে নাটকের জন্য আলাদা সময় বের করা সত্যই দুরূহ। সারা বছর দর্শক চাইলেও তিনি নাটকে নিয়মিত হতে পারেন না। তাই বলে নাট্য নির্মাতাদের কখনও হতাশ করেন না। কষ্ট করে সময় বের করেন নাটকের জন্য। গেল বছর মিজানুর রহমান আরিয়ানে নাটক ‘কথপোকথন’ এবং তানিম রহমান অংশুর ‘ফ্লিপার’ বেশ জনপ্রিয় নাটক ছিল। ফ্লিপার অপূর্বর সঙ্গে মিথিলার চমৎকার মিষ্টি অভিনয় দর্শক মনে রেখেছে। যে ২০১৭তেও এমন দারুণ গল্পের নায়িকা হিসেবে আশা করছে। মূলত বেশ সংখ্যক টিভি দর্শক তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথিলা নাটক এবং অভিনয়ের প্রশংসা করেছে। তারা আরও বেশি বেশি নাটক-টেলিফিল্ম করার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন। মিথিলা চাইলেও তার সাধ্যমতো সময় বের করতে পারেন না। তার যে সময়ে বড় অভাব, যা তার যাপিতজীবনের খোঁজখবর নিয়েই জানা যায়। সংখ্যায় অল্প কাজ করে যে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা পাওয়া যায় তা মিথিলার অভিনীত নাটক দেখলেই বিচার করা যায়। আর দর্শকদের এমন ভাল লাগার চাওয়া থেকেই হয়ত মিথিলা সব কাজের ফাকে তার দর্শকদের জন্য সময় বের করেন।
×