ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রফতানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৫ মে ২০১৭

রফতানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিশে^র অনেক দেশ এখন বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। যে সব দেশ বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে, সেখানে রফতানি বাজার সম্প্রসারিত করতে হবে। বিশে^র যেখানে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেখানেই যেতে হবে। রফতানিকারকদের এ জন্য বেশি তৎপর হওয়া প্রয়োজন। বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার ঢাকায় পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘ট্রেড এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেট পলিসাইজ ফর এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রফতানি আয় বৃদ্ধির জন্য পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, জুটপণ্য এবং কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনেক পণ্য রফতানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০২১ সালে দেশের রফতানির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। গত অর্থবছরে ৩৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি হয়েছে, এ বছর ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি হবে। ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য রফতানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদেক আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ^ব্যাংকের লিড ইকনোমিস্ট এ্যান্ড কান্ট্রি সেক্টর কো-অর্ডিনেটর ড. জাহিদ হোসেন, বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান, চামড়াজাত পণ্য রফতানিকারকদের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
×