ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তিন জঙ্গীসহ আটক ৪

চাঁপাইয়ে ফের র‌্যাবের অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৫ মে ২০১৭

চাঁপাইয়ে ফের র‌্যাবের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ জেলার গোমস্তাপুর ও নাচোলে বুধবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার ও অপর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৫ রাজশাহীর অধিনায়ক মাহবুবুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোমস্তাপুর উপজেলার বাজারপাড়া থেকে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ৪ রাউন্ড গুলি ও ৩ কেজি গানপাউডার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা হলো গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৩), একই এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুস শাকুর ওরফে শুকুদ্দী (৪৩) এবং চক পুস্তম গ্রামের টুগু মড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২)। তিনি জানান, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে জেলার নাচোল উপজেলার চাদপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ও ফুরশেদপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তোফাজ্জল ম-লের ছেলে আব্দুুল মজিদ টানুকে (৪৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তবে ওই দুই বাড়ি থেকে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। এর পর গোমস্তাপুরের চকপুস্তম গ্রামের এজাবুল হকের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। তবে সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। ওই অভিযান শেষে বালু গ্রামের শুকুরুদ্দীনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে ৩টি পিস্তল, ৯ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে র‌্যাব। বেলা ১১টার সময় অভিযান শেষ করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক শুকুদ্দী ২০১২ সালে নাচোলে আলোচিত জেএমবি সদস্য সালমান হত্যার পলাতক আসামি। সে এলাকায় জেএমবির একজন প্রশিক্ষণ দাতা। তারা প্রায়ই নির্জন আম বাগানে গোপন বৈঠক করত। র‌্যাব কর্মকর্তা জানায়, আটককৃতরা তামিম-সারোয়ার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তিনি বলেন, জেলায় প্রায় ৫০ জেএমবি সদস্য রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে পুলিশ ও র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার ওই তিনজন কোন্ পর্যায়ের জেএমবি সদস্য রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে। গাইবান্ধায় ১ নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, দীর্ঘ ৯ বছর পর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হলো জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক স্থানীয় নেতা বাদল হানজালা (৩২)। ২০০৮ সাল থেকে তাকে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার দুপুরে তাকে গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, বাদল হানজালা জেএমবির একজন স্থানীয় নেতা। ২০০৮ সালে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি সে। এর পর থেকে বাদল হানজালা দাড়ি-গোঁফ ফেলে দেশের বিভিন্নস্থানে আত্মগোপনে ছিল। তার শ্বশুরবাড়ি ফুলছড়ি উপজেলায়। সেখানে তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ওই সন্তানকে দেখার জন্য সে নারায়ণগঞ্জ থেকে গাইবান্ধায় এসে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে।
×