ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিষয় ॥ জীববিজ্ঞান;###;Taslima Afroz

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৫ মে ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01711-043777 e-mail: [email protected] (পর্ব-২৯) চতুর্থ অধ্যায় ॥ জীবনীশক্তি সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। ইতোপূর্বে তোমরা জীবনীশক্তি, জীবনীশক্তিতে অঞচ এর ভূমিকা, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া, ঈ৩ গতিপথ বা ক্যালাভিন চক্র ও ঈ৪ গতিপথ বা হ্যাচ ও স্ল্যাক চক্র, সালোকসংশ্লেষণের প্রভাবসমূহ ও এর গুরুত্ব, সবাত শ্বসন এবং অবাত শ্বসন সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা: শ্বসনের গুরুত্ব ও শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাবকসমূহ শ্বসন: যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ঙ২ এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে কোষস্থ জটিল খাদ্য জারণের মাধ্যমে শক্তি নির্গত হয় এবং উপজাত দ্রব্য হিসেবে ঈঙ২ ও ঐ২ঙ উৎপন্ন হয় তাকে শ্বসন বলে। শ্বসনের সামগ্রিক সমীকরণটি নিম্নরূপ : শ্বসনের গুরুত্ব : শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি দিয়ে জীবের সব ধরনের ক্রিয়া-বিক্রিয়া ও কাজকর্ম পরিচালিত হয়। শ্বসনে নির্গত ঈঙ২ জীবের প্রধান খাদ্য শর্করা উৎপনের জন্য সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। এ প্রুক্রয়া উদ্ভিদে খনিজ লবণ পরিশোষণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া চালু রাখে। কোষ বিভাজনের প্রয়োজনীয় শক্তি ও বিছু আনুষঙ্গিক পদার্থশ্বসন প্রুক্রয়া থেকে অসে। তাই এ প্রক্রিয়া জীবের দৈহিক বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে। এ প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপক্ষার ও জৈব এসিড সৃষ্টিতে সহায়তা করার মাধ্যমে জীবনের অন্যান্য জৈবিক কাজেও সহায়তা করে। কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বাচতে পারে না। এদের শক্তি উৎপাদনের একমাত্র উপায় হলো অবাত শ্বসন। এ প্রক্রিয়ায় ইথাইল অ্যালকোহল তৈরি হয়, যাবিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। ল্যাকটিক এসিড ফার্মেন্টেশনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ায় দই, পনির ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। রুটি তৈরিতে এ প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। ইস্টের অবাত শ্বসনের ফলে অ্যালকোহল ও ঈঙ২ গ্যাস তৈরি হয়। ঈঙ২ গ্যাস এর চাপে রুটি ফাঁপা হয়। শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাবকসমূহ : শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাবকগুলো বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দু’রকম হতে পারে। ক. বাহ্যিক প্রভাবক : বাহ্যিক প্রভাবকসমূহ হলো- তাপমাত্রা, অক্সিজেন, পানি, আলো, কার্বন ডাই-অক্সাইড (ঈঙ২) প্রভৃতি খ. অভ্যন্তরীণ প্রভাবক : অভ্যন্তরীণ প্রভাবকসমূহ হলো- খাদ্যদ্রব্য, উৎসেচক, কোষের বয়স, অজৈব লবণ, কোষমধ্যস্থ পানি প্রভৃতি এদের বর্ণনা নি¤œরূপ: ক. বাহ্যিক প্রভাবক : বাহ্যিক প্রভাবকসমূহ হলো- তাপমাত্রা : ২০ সেলসিয়াস এর নিচে এবং ৪৫ সেলসিয়াস এর উপরের তাপমাত্রায় শ্বসন হার কমে যায়। শ্বসনের জন্য উত্তম তাপমাত্রা ২০ সেলসিয়াস। অক্সিজেন : সবাত শ্বসনে পাইরুভিক এসিড জারিত হয়ে ঈঙ২ ও ঐ২ঙ উৎপন্ন করে। কাজেই অক্সিজেনের অভাবে সবাত শ্বসন কোনোক্রমেই চরতে পারে না। পানি : পরিমিত পানি সরবারাহ শ্বসন ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। কিন্তু অত্যন্ত কম কিংবা অতিরিক্ত পানির উপস্থিতিতে শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। আলো : শ্বসন কার্যে আলোর প্রয়োজন পড়ে না সত্যি কিন্তু দিনের বেলা আলোর উপস্থিতিতে পত্ররন্ধ্র খোলা থাকায় ঙ২ গ্রহণ ও ঈঙ২ ত্যাগ করা সহজ হয় বলে শ্বসন হার একটু বেড়ে যায়। কার্বন ডাইাক্সাইড : বায়ুতে ঈঙ২এর ঘনত্ব বেড়ে গেলে শ্বসন হার কিঞ্চিত কমে যায়। খ. অভ্যন্তরীণ প্রভাবক : অভ্যন্তরীণ প্রভাবকসমূহ হলো- খাদ্যদ্রব্য : শ্বসন প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য (শ্বসনিক বস্তু) ভেঙ্গে শক্তি, পানি ও ঈঙ২ নির্গত করে তাই কোষে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ ও ধরন শ্বসন হার নিয়œত্রণ করে। উৎসেচক : শ্বসন প্রক্রিয়ায় বহুবিধ এনজাইম বা উৎসেচক সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। কাজেই এনজাইমের ঘাটতি শ্বসন হার কমিয়ে দেয়। কোষের বয়স : অল্পবয়স্ক কোষে বিশেষ করে ভাজক কোষে প্রোটোপ্লাজম বেশি থাকে বলে বয়স্ক কোষ অপেক্ষা শ্বসন হার বেশি হয়। অজৈব লবণ : কোনো কোনো রবণ শ্বসনন প্রুক্রয়াকে ব্যাহত করলেও কোষের সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া পরিচালিনার জন্য কোষের অভ্যন্তরে অজৈব লবণ থাকা বাঞ্চনীয় । কোষমধ্যস্থ পানি : বিভিন্ন শ্বসনিক বস্তু দ্রবীভ’ত করতে এবং এনজাইমের কার্যকারিতা প্রকাশের জন্য পনির প্রয়োজন।
×