ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাটজাত মোড়ক ব্যবহারে ঢাকায় বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৪ মে ২০১৭

পাটজাত মোড়ক ব্যবহারে ঢাকায় বিশেষ অভিযান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহীর নেতৃত্বে সোমবার এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পাওয়া চিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর অব্যাহত কঠোর তদারকিতে পাট ফিরে পাচ্ছে তার হারানো গৌরব। পোস্তগোলা ও জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় পরিচালিত অভিযানে প্রায় অর্ধশতাধিক চাল, আটা, গমের আড়তে অভিযান চালিয়ে সবাইকে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ মেনে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার করতে দেখা যায়। অর্ধশতাধিক দোকানের মধ্যে শুধু ফরিদপুর রাইস এজেন্সিতে ১০ থেকে ১৫টি পলিথিন মোড়কে চাল রাখতে দেখা যায়। দোকানটিকে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’-এর ১৪ ধারা মোতাবেক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জুরাইন চাল ও খাদ্যদ্রব্য আড়তদার সমিতির সভাপতি মাওলানা ইউসুফ জানান, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান ও সচেতনতা তৈরির কারণে তার সমিতির সবাই পাটের মোড়ক ব্যবহার করেন। ফরিদপুর রাইস এজেন্সি অসাবধানতাবশত ভুল করায় সমিতির পক্ষ হতেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা পাট কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, শুধু জুরাইন নয়, ঢাকা শহরের মোটামুটি সব আড়তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। আইনে উল্লিখিত খাদ্যদ্রব্যসমূহে পাট ব্যতীত অন্য কোন মোড়কের ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না। দু’-একজনকে অপরাধ করতে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে ঢাকাসহ দেশে সব সরকারী-বেসরকারী পাটকলে পাটজাতদ্রব্যের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। পাট শিল্প ফিরে পাচ্ছে কাক্সিক্ষত গতি। বীমার মেয়াদ শেষ হলেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বীমার মেয়াদ শেষ হলেও টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। বারো বছর পর জমা টাকার দ্বিগুণ ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না কর্তৃপক্ষ। গাইবান্ধায় পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গ্রাহকদের। এক সঙ্গে কিছু টাকা পাওয়ার আশায় খেয়ে না খেয়ে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বীমা করেছিলেন গ্রামের দরিদ্র মানুষ। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা দেয়ার নাম নেই। প্রায় প্রতিদিনই টাকার আশায় গাইবান্ধা জোন অফিসে এসে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহক ও কর্মীরা। শুধু তাই নয় মেয়াদ শেষে গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থের দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও এখন আসল টাকা তুলতেই চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
×