ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোজার আগে চিনির বাজার অস্থির

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৪ মে ২০১৭

রোজার আগে চিনির বাজার অস্থির

অর্থনৈতিক রিপোর্র্টার ॥ রোজা আসার আগেই অস্থির চিনির বাজার। গত সপ্তাহে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ছয় থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম কমেছে। উল্লেখ্য, জতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (ফাও) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিলে খাদ্যসামগগ্রীর দাম কমেছে। চিনি, ভোজ্য তেলসহ প্রধান প্রধান খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন ও সরবরাহে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এপ্রিলে খাদ্যপণ্যের গড় দাম নেমেছে ১৬৮ পয়েন্টে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, গড় খাদ্য সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে চিনি। পণ্যটির দর ৯.১ শতাংশ কমেছে। চাহিদার অতিরিক্ত মজুদ থাকার পরও চিনির দাম বাড়ার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা চিনি সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় খুচরা বাজারে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের ভাষ্য, সম্প্রতি পাইকারি বাজারে চিনির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা কিছুদিন আগেও যে চিনি কিনতেন দুই হাজার ৮৫০ থেকে দুই হাজার ৯০০ টাকায়, এখন তা কিনতে হচ্ছে তিন হাজার ৩৫০ থেকে তিন হাজার ৪০০ টাকায়। এর মানে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। ট্রেডিং কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, কেজিতে চিনির সর্বশেষ দর দেখানো হয়েছে ৬৭-৭০ টাকা। বাস্তবে বাজারে চিনির দাম অনেক বেশি। টিসিবির সঙ্গে দামের কোন মিল নেই। চাহিদার তুলনায় চিনির মজুদ বেশি থাকার পরও কেন দাম বাড়ানো হয়েছে জানতে চাইলে মিল মালিকদের ওপর দোষ চাপান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মৌলভীবাজার পাইকারি বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা বলেন, এ বছর মেঘনা গ্রুপের কারখানার যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে চিনির সরবরাহ কমে গেছে। এক সপ্তাহ ধরে সিটি গ্রুপও চাহিদার তুলনায় অর্ধেক চিনি সরবরাহ করছে। ট্রাকে চিনি আনতে গিয়ে কমপক্ষে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় চিনিসহ সব ধরনের পণ্য সরবরাহে বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে।
×