ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইনস্টাগ্রামে খাবারের ছবিতে ইটিং ডিজঅর্ডার

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৪ মে ২০১৭

ইনস্টাগ্রামে খাবারের ছবিতে ইটিং ডিজঅর্ডার

খাওয়ার প্রতি একটা দুর্বলতা প্রায় সব মানুষেরই আছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে রসনাতৃপ্তি শুধু খেয়ে আর খাওয়ানোর সুখে আটকে নেই। এখন খাবার দেখিয়েও সুখ। রান্না করে খাওয়ার আগে বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার আগে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে রাখতেই হবে ধোঁয়া ওঠা সেই সুস্বাদু খাবারের ছবি। তারপর নিমেষে সে ছবি ইনস্টাগ্রাম পেজে। খাওয়া শেষ হতে হতেই অনেক ইউজার মুগ্ধ হবে সেই ছবি দেখে। কিন্তু এতে কি আশা মিটল? ইনস্টাগ্রামে আপনি যতই লোভনীয় খাবারের ছবি পোস্ট করবেন, যতই অন্যদের পোস্ট করা খাবারের ছবি দেখবেন ততই আরও বেশি ইচ্ছা জাগবে খাওয়ার, লোভে পড়ে খেতে খেতে হয়ে যেতে পারে ইটিং ডিজঅর্ডার পর্যন্ত। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, অল্প বয়সীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তার কারণে হওয়া হীনমন্যতা, অবসাদের মতোই ইটিং ডিজঅর্ডার একটা বড় সমস্যা। ক্রমাগত সেলেবদের পোস্ট করা ছবি দেখে হতে পারে অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসার মতো ইটিং ডিজঅর্ডার। এই ডিজঅর্ডার হল ‘এ্যান অবসেশন উইথ হেলদি ইটিং’ অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি। যারা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের মধ্যে হাই অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসা দেখা যায়। যার থেকে হয়ে যেতে পারে এ্যানোরেস্কিয়া নার্ভোসা। এ ডিজঅর্ডারের লক্ষণগুলো হলোÑ কৃশকায় চেহারা, সব সময় মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় পাওয়া এবং রোগা থাকার প্রাণপণ চেষ্টা। গবেষকরা ৬৮০ জন সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারদের নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ, খাদ্যাভ্যাস ও অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসার লক্ষণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। যারা ইনস্টাগ্রামে খুব বেশি সক্রিয় তাদের মধ্যে অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসায় ভোগার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সঙ্গে এ সমস্যায় ভোগার সম্পর্ক দেখা যায় না। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশের অর্থোরেক্সিয়া নার্ভোসা সিম্পটম দেখা গেছে। অথচ, সারা বিশ্বের এক শতাংশ মানুষও এ রোগে আক্রান্ত নন। সূত্র : ওয়েবসাইট।
×