ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘টিম স্পিরিটই মুম্বাইর সাফল্যের রহস্য’

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৩ মে ২০১৭

‘টিম স্পিরিটই মুম্বাইর সাফল্যের রহস্য’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বেন স্টোকস, গৌতম গাম্ভীর বা ক্রিস গেইলের মতো বড় তারকা নেই, তবু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সাফল্যের রহস্য কি? ‘আত্মবিশ্বাস, টিম স্পিরিট’Ñ এক বাক্যে এমনটাই জানিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকর। মুম্বাই কেবল ভারতীয় গ্রেটের জন্মস্থানই নয়, সেই শুরু থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মধ্যমণি তিনি। শুরুতে ছিলেন দলের সদস্য হিসেবে, এখন প্রধান পরামর্শক-মেন্টর। ইন্ডিয়ান্সদের সাফল্যে নেপথ্যের সঙ্গী হিসেবে, স্টাফ হিসেবে পেয়েছেন রিকি পন্টিং, মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আর মেধাবী সাবেকদের। মাত্র ১২৯ রানের পুঁজি নিয়েও ‘নাটকীয়’ ফাইনালে স্মিথ-ধোনিদের রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টকে ১ রানে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে শিরোপার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে রোহিত শর্মার মুম্বাই। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শচীন বলেছেন, আত্মবিশ্বাসই তাদের মূল নিয়ামক, এ জন্য লঙ্কান তারকা মাহেলাকে বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছেন। ‘এই পুঁজি নিয়ে অনেকেই হয়ত স্বস্তিতে ছিল না। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ছিল, ম্যাচটা আমরা জিততেও পারি। শেষ বল পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবেÑ বিরতিতে মাহেলা যখন ছেলেদের উদ্দেশ্যে এমনটা বলে, তাতে সবাই তেতে ওঠে। এই চাপের মধ্যেও বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ওরা যা করেছে, তা অনবদ্য। মাহেলাকে ধন্যবাদ, ধন্যবাদ রোহিত, বুমরাহ আর জসনদের। কারণ তারা মাঠে বাস্তবায়ন করেছে। এটা আসলে টিম স্পিরিটের ফসল।’ মুম্বাইর শিরোপাজয়ের পর বলেন শচীন। আবেগাপ্লুত ইন্ডিয়ানদের ক্রিকেটঈশ্বর আরও যোগ করেন, ‘এমন রাত আমার কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু তবু বার বার এই উচ্ছ্বাসটাকে নতুন মনে হয়। অসাধারণ এক জয়। ব্যাটিংয়ে শুরুটা মোটেই ভাল ছিল না। বোর্ডে প্রত্যাশিত রান ওঠেনি। তবু শেষটা যেভাবে হলো, তা মনে রাখার মতো।’ ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়া জাসপ্রিত বুমরাহ বরাবরের মতোই আলো ছড়িয়েছেন, তবে মিচেল জনসনের ৩ শিকার দৃশ্যপট পাল্টে দেয়। বোলিংয়ে মালিঙ্গাও ছিলেন সময়োপযোগী। অথচ বাস্তাবতার বিচারে জনসন-মালিঙ্গা কেউই লাইমলাইটে ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে শচীনের ব্যাখ্যা,‘চ্যাম্পিয়নরা চিরকাল চ্যাম্পিয়নই থাকে। জানতাম মালিঙ্গা যে কোন ম্যাচে ভাল করবেই। ফাইনালে সেটাই করেছে। সবাই বলে জনসন নাকি টেস্টের বোলার, অথচ কি দুর্দান্ত বল করল। সিনিয়ররাই শেষ পর্যন্ত মাতা ঠা-া রেখে কাজ হাসিল করেছে। একেই বলে টিমওয়ার্ক।’ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে মুম্বাইকে ম্যাচে রেখেছেন মালিঙ্গা। তবে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে এদের কেউ নন, ম্যাচসেরা ক্রনাল পান্ডিয়া। ৬৫ রানে পঞ্চম ও ৭৯ রানে সপ্তম উইকেট হারানো মুম্বাইকে ফাইট দেয়ার মতো স্কোর এনে দিয়ে নায়ক তরুণ এই অলরাউন্ডার। ঘোরতম বিপদে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন ম্যাচসেরা ক্রুনাল। ‘বড় ম্যাচে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। যখন ক্রিজে ছিলাম তখন অন্য দিক থেকে উইকেট পড়ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে চাইছিলাম। জীবনের প্রথম আইপিএলের ফাইনালে ম্যাচসেরা হতে পেরে দারুণ লাগছে’Ñ বলেন তিনি। আইপিএলের দশম আসরে মুম্বাইর তৃতীয় শিরোপা এটি। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় গ্রেট শচীনের ছায়াধন্য এ ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া ২০১০Ñএর রানার্সআপ তারা।
×