ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের নির্দেশ

স্বাধীনতাবিরোধী ত্রিদিব রায়ের নামফলক সরাতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৩ মে ২০১৭

স্বাধীনতাবিরোধী ত্রিদিব রায়ের নামফলক সরাতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার॥ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এলাকাসহ সকল স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধী চাকমা (রাজা) সার্কেল চীফ ত্রিদিব রায়ের নাম করা ফলক ৯০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ত্রিদিব রায়ের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সচিব, এলজিআরডি সচিব, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কাজি রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন শরীফ আহমেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। আইনজীবীরা জানান খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামটিসহ সারাদেশের স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধী চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম ৯০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন রাঙ্গামাটির বাসিন্দা বদিউজ্জামান সওদাগর ও খাগড়াছড়ির হেলাল উদ্দিন। রিট আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা সচিব, এলজিআরডি সচিব, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ৯০ দিনের মধ্যে সব স্থাপনা থেকে ত্রিদিব রায়ের নাম অপসারণের নির্দেশ দেন। রিট আবেদনে বর্তমান চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বাবা ওই অঞ্চলের ৫০তম চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়কে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীদের সহযোগী উল্লেখ করে বলা হয়Ñ তার নামে সড়ক, মার্কেট, বিল্ডিং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনা থেকে তার নাম অপসারণ করতে হবে। রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম ১৯৭২ সালের দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৭৯ বছর বয়সে ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার আগে তিনি পাকিস্তানেই ছিলেন। উল্লেখ্য, চাকমাদের ৫০তম রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম ১৯৭২ সালের দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি সেই অভিযোগ মোকাবেলার জন্য কখনও বাংলাদেশে ফিরে আসেননি। ১৯৫৩ সালের ২ মে থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজা ছিলেন। পাকিস্তানে তিনি একজন লেখক, কূটনীতিক, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে।
×