ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিড়ি শ্রমিকরা বিকল্প কর্মসংস্থান চায়

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৩ মে ২০১৭

 বিড়ি শ্রমিকরা বিকল্প কর্মসংস্থান চায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ১৫ লাখ বিড়ি শ্রমিকের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না করে সরকার বিড়ি তুলে দিতে চাইছে। সংসদ সদস্য হিসেবে বলতে চাই, আমি বিড়ি শ্রমিকদের পক্ষে বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই কথা বলব। রবিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত নন্দী, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চেয়ারপার্সন আরডিসি। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিন উদ্দিন। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বিড়ি শ্রমিকরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। এরা কেউ রাজাকার নন। তাদের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। কারণ এখন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নীতির বাইরে কোন বিড়ির ওপর কোন করারোপ করা হলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হবে। সরকার থাকবে গরিব মানুষের পক্ষে আর মন্ত্রীরা গরিব মানুষের বিরুদ্ধে থাকবে সেটা তো হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, গরিবরাই এ দেশ গড়ে তুলেছেন। গরিবরা বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় বলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তিনি সরকারকে বৈষম্যমূলক শুল্ক তুলে নেয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর। শ্রমঘন শিল্পকে রক্ষা করতেই শ্রমিকরা আজ আন্দোলনে রয়েছে। সিগারেট বন্ধ না করে শুধু বিড়ি বন্ধের যে কথা বলা হচ্ছে এটা মেনে নেয়া হবে না। বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান না করা হলে এ আন্দোলন চলবে। ব্যাংকের সব শাখায় ইন্টারনেট থাকতে হবে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এই বছরের মধ্যেই দেশের সব ব্যাংকের প্রত্যেক শাখায় ইন্টারনেট থাকা বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ব্যাংককে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় ইলেক্ট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থায় গ্রাহকের অংশগ্রহণ সহজ করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার ত্বরান্বিত করতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে ইলেক্ট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার (ঊঋঞ), ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (ঘচঝ), মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (গঋঝ) চালু করা হয়।
×