ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিটাগাং চেম্বারের নেতৃত্বে ফের মাহবুব- নেওয়াজ-জামাল

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৩ মে ২০১৭

চিটাগাং চেম্বারের নেতৃত্বে ফের মাহবুব- নেওয়াজ-জামাল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডিয়াম সদস্যরাও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম এবং সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে গত রবিবার ২৪ পরিচালক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হন। সোমবার চেম্বার সূত্রে জানানো হয়, আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চিটাগাং চেম্বার কার্যালয়ে পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় নবনির্বাচিত পরিচালকম-লীর সভা। এতে সর্বসম্মতিক্রমে আগের প্রেসিডিয়ামকে পরবর্তী মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করা হয়। সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম এনসিসি ব্যাংক ও সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান। সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং নর্থওয়েস্ট শিপিং লাইন ও নর্থওয়েস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। প্রেসিডিয়ামের এই তিন সদস্যসহ নির্বাচিত ২৪ পরিচালকের সবাই বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। চিটাগাং চেম্বারের পরিচালক পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেনÑ নুরুন নেওয়াজ সেলিম, একেএম আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জাহেদুল হক, আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, অঞ্জন শেখর দাশ, মুজিবুর রহমান, সরওয়ার হাসান জামিল, মোঃ রকিবুর রহমান টুটুল, মোঃ আবু ওবায়দা মার্শাল, মোঃ শাহরিয়ার জাহান, মাহবুবুল আলম, এমএ মোতালেব, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সৈয়দ ছগীর আহমেদ, এসএম শামসুদ্দিন, মোঃ হাবিবুল হক, মোঃ জহুরুল আলম, আবদুল মান্নান সোহেল, সৈয়দ জামাল আহমেদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর এবং ওমর হাজ্জাজ। আন্দোলন নয়, ভ্যাট দিতে হবে রাষ্ট্রের জন্য অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নত রাষ্ট্রে ভ্যাটের পরিমাণ ২০ শতাংশ। কোন কোন দেশে তার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশে ভ্যাটের হার খুব বেশি নয়। ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট আইনে রাখা হয়েছে একগুচ্ছ সুবিধা। ভ্যাট আইন নিয়ে আন্দোলন নয়, ভ্যাট দিতে হবে রাষ্ট্রের জন্য। এজন্য সিঙ্গেল ডিজিটের ভ্যাট হলে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার সংখ্যা কমবে। ভ্যাট দিতে উৎসাহিত হবেন ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাজধানীর রমনা রেস্টুরেন্টে ‘সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা পূর্ব কাস্টম এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান। কাস্টম এক্সাইজ কমিশনারেট রূপগঞ্জ ও সূত্রাপুর ডিভিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সাদিয়া আফরোজ। বক্তব্য রাখেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, এফবিসিসিআইর পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, ইলেক্ট্রিক মার্চেন্ডাইজিং এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব জাবেদ, কাস্টম কমিশনারেট পূর্ব’র ডেপুটি কমিশনার তাছমিনা হোসেন প্রমুখ। ড. একেএম নুরুজ্জামান বলেন, একজন ব্যক্তি ভ্যাট দেবে দেশ গঠনের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। আমরা স্বচ্ছ, সুন্দর কর ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চাই। আমাদের মধ্যম আয় ও উন্নত রাষ্ট্রে যেতে হলে রাজস্ব ভা-ারে রাজস্ব বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট আইনে রাখা হয়েছে একগুচ্ছ সুবিধা। এখানে সবাই ১৫ শতাংশ কর দেবে না।
×