ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিএল শিরোপা জিতল মুম্বাই

প্রকাশিত: ০৮:১২, ২২ মে ২০১৭

আইপিএল শিরোপা জিতল মুম্বাই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানটান উত্তেজনার ফাইনাল ম্যাচে জিতে আইপিএলের দশম আসরের শিরোপা জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টকে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো দলটি। হায়দরাবাদে হওয়া ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে মুম্বাই। ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১২৯ রান করে। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা ২ উইকেট করে নেয়া উনারকাট, জাম্পা ও ক্রিশ্চিয়ানের বোলিং বিপাকে পড়ে থাকে। এ রান স্কোরবোর্ডে যোগ হওয়ার পর মনে হয়েছে, পুনে ফাইনাল ম্যাচটি জিততে যাচ্ছে। কিন্তু অল্প স্কোরের ম্যাচেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো। শেষপর্যন্ত মুম্বাই জিতে গেল ম্যাচ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচটি জমেছে। মুম্বাইয়ের বোলাররাও চাপ তৈরি করে রাখে। পুনের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ (৫১) হাল ধরেন। কিন্তু তাতেও শেষপর্যন্ত কাজে দেয়নি। শেষে গিয়ে ১ রানে হেরেছে পুনে। মিচেল জনসন (৩/২৬) ও জাসপ্রিত বুমররা (২/২৬) দুর্দান্ত বোলিং করে দলকে জেতান। ৬ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১২৮ রান করতে পারে পুনে। শেষ ওভারে জিততে ১১ রান দরকার ছিল পুনের। প্রথম বলে বাউন্ডারি হয়। পরের দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে নেন জনসন। চতুর্থ বলে ১ রান হওয়ার পর পঞ্চম বলে আরেকটি উইকেট পেতেন। কিন্ত ক্যাচ মিস হয়। ষষ্ঠ বলে গিয়ে আরেকটি উইকেট নেন জনসন। ছয় বলে ৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন জনসন। সেই সঙ্গে শিরোপাও জিতে মুম্বাই। এবারের আসরে মুম্বাই ও পুনে এরআগে তিনবার মুখোমুখি হয়। দুইবার লীগ পর্বে। একবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে। তিনবারই মুম্বাই হারে। কিন্তু ফাইনালে এসে মুম্বাই জিতে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে খেলে। এরআগে ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৫ সালে ফাইনালে খেলে তারা। তিনবারই প্রতিপক্ষ দলটি ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৩ ও ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই। এবার তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো। আইপিএল ইতিহাসে সাতবার ফাইনালে খেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যা টুর্নামেন্টে ইতিহাস। ২০১০ ও ২০১১ সালে টানা দুইবার ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নও হয় দল। দলটির নাম চেন্নাই সুপার কিংস। এবার ধোনি খেলছেন পুনেতে। এবার আর চ্যাম্পিয়ন হলো না ধোনির দল। আইপিএলের এটি দশম আসর অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালে শুরু হয় টুর্নামেন্ট। আগের নয় আসরের মধ্যে দুইবার করে চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হয়। একবার করে শিরোপা জিতে রাজস্থান রয়্যালস, ডেকান চার্জার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবার নিয়ে তৃতীয়বার এবং সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মুম্বাই। প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় রাজস্থান রয়্যালস। পরের আসরে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্স শিরোপা ঘরে তুলে। এরপর ২০১০ ও ২০১১ সালে টানা দুইবার চেন্নাই সুপার কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) এবং ২০১৩ ও ২০১৫ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিরোপা জিতে। গত আসরে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শিরোপা ঘরে তুলে। পুনে দ্বিতীয়বারের মতো আইপিএলে খেলতে নেমেই শিরোপা জেতার আশা জাগায়। কিন্তু পারেনি। আবারও মুম্বাই চ্যাম্পিয়ন হয়। স্কোর ॥ পুনে-মুম্বাই ম্যাচ-হায়দরাবাদ মুম্বাই ইনিংস ১২৯/৮; ২০ ওভার (পান্ডে ৪৭, রোহিত ২৪; উনারকাট ২/১৯)। পুনে ইনিংস ১২৮/৬; ২০ ওভার (স্মিথ ৫১, রাহানে ৪৪; জনসন ৩/২৬, বুমরা ২/২৬)। ফল ॥ মুম্বাই ১ রানে জয়ী। চ্যাম্পিয়ন ॥ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তিন জাতি সিরিজে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আয়ারল্যান্ডে চলমান তিনজাতি ক্রিকেট সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। রবিবার স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজের শিরোপা জেতা নিশ্চিত করে কিউইরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৪ মে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলবে নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচটির আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজে টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছে তারা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতে গেছে। যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে জিতে, তাহলে অপরাজিত চ্যাাম্পিয়ন হবে নিউজিল্যান্ড। রবিবার আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচে আগে ব্যাট করে লাথামের ১০৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে রস টেইলরের ৫৭ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩৪৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩৯.৩ ওভারে ১৫৪ রান করতেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। বল হাতে হেনরি তিনটি উইকেট নেন।
×