স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাগীতি। প্রায় হাজার বছর আগে এ দেশের বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য তথা ভাবসাধকেরা চর্যাগানের ভেতর দিয়ে দেহসাধনার কথা প্রচার করেছিলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ইতিহাসের কারণে বাংলাদেশ থেকে চর্যাগান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রাচীনতম এ সাহিত্য নিদর্শনকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছে ভাবনগর ফাউন্ডেশন। চর্যাগানের পুনর্জাগরণে কাজ করা এ সংগঠনটির আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো চর্যাগান ও চর্যানৃত্য পরিবেশনা। আর সংস্কৃতিপ্রেমী শহরবাসী এক আয়োজনে উপভোগ করল প্রাচীন ধারার এ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনা। খরতাপমাখা দিন শেষে সন্ধ্যার আয়োজনটি অন্তরে ছড়িয়ে দেয় পুরনোকে আলিঙ্গনের ভিন্নরকম আনন্দ। রবিবার জ্যৈষ্ঠের সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ ছিল এ পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে ভাবনগর ফাউন্ডেশনের ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার গ্রামের সাধকশিল্পীসহ ঢাকা, ঝিনাইদহ, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, পঞ্চগড় ও সিরাজগঞ্জের ভাবসাধকগণ চর্যাগান পরিবেশন করেন। পাশাপাশি চর্যানৃত্য ও গীত পরিবেশন করবেন ভারতের নৃত্যশিল্পী অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায় ও সঙ্গীতকার অভিতাভ মুখোপাধ্যায়। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী। এর আগে সকালে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত সমতটের সুবর্ণ মুদ্রা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মোঃ নজরুল ইসলাম খান। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. শরিফুল ইসলাম। আলোচনা করেন ড. মোঃ রেজাউল করিম ও অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন। বিকেলে একই মিলনায়তনে ছিল ড. আহমেদ হাসান দানী স্মারক বক্তৃতা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পারভীন হাসান। বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চা আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের সভাপতি ড. এনামুল হক। আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ ও ড. স্বপন কুমার বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী।
দেশীদশ ঈদ ফ্যাশন শো
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। তবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঙালীর কাছে ধর্মভিত্তিক উৎসবও হয়ে সর্বজনীন। আনন্দের অবগাহনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও সমবেত হয় অন্য ধর্মের উৎসবে। মাসখানেক পর আসছে ঈদ উৎসব। আর ঈদ আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে নতুন পোশাক। প্রতিটি পরিবারই নিজেদের সাজাতে চায় পোশাকের বর্ণিলতায়। সেই লক্ষ্যে আসন্ন ঈদ উৎসবে রকমারি নকশার বৈচিত্র্যময় পোশাক নিয়ে আসছে দেশের দশটি নামী ফ্যাশন হাউজ দেশীদশ। ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করেছে নিজেদের ঈদ পোশাকগুলো। নজরকাড়া সেই সব পোশাককে আরও আকর্ষণীয় করে মেলে ধরা হলো। নামীদামী মডেলরা পোশাকগুলো গায়ে চড়িয়ে হেঁটে বেড়ালে র্যাম্পে। রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের ১ নম্বর হলে অনুষ্ঠিত হলো দেশীদশ ঈদ ফ্যাশন শো।
দেশীদশের সদস্য ও দেশের শীর্ষস্থানীয় দশটি ফ্যাশন হাউস নিপুণ, কে ক্রাফট, অঞ্জন’স, রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, সাদাকালো, বিবিআনা, দেশাল, নগরদোলা ও সৃষ্টির ঈদ আয়োজন নিয়ে আজরা মাহমুদের কোরিওগ্রাফিতে অনুষ্ঠিত হয় মনমাতানো এ ফ্যাশন শো।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: