ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে দিনে রাতে অন্তত চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২২ মে ২০১৭

রাজধানীতে দিনে রাতে অন্তত চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গরমে আকস্মিকভাবে বেড়েছে লোডশেডিং। খোদ রাজধানীতে দিনরাতে অন্তত চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। অধিকাংশ গ্রামে রাতের বেলা নামমাত্রই বিদ্যুত থাকে। চাহিদা আর যোগানে ভারসাম্যহীনতার কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্যুত না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা অন্তত তিনটি জেলার পল্লী বিদ্যুত অফিস ঘেরাও করেছে। ৪১ পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুত দিতে পারছে না। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয়ভাবে পুলিশি নিরাপত্তাও চাইছে কোন কোন এলাকার বিদ্যুত অফিস। পিডিবি সূত্র জানায়, বড় বেশ কয়েকটি বিদ্যুত কেন্দ্র রমজানে বিদ্যুত সরবরাহে প্রস্তুত করতে বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এর বাইরে সম্প্রতি আশুগঞ্জে ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ায় একটি অংশের পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে যাতে লোডশেডিং আরও বেড়েছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে বিভিন্ন কোম্পানির বিতরণ দুর্বলতা। রবিবার বিকেলে রাজধানীর কয়েকটি সাব-স্টেশন এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে দিনের বেলাতে চাহিদার তুলনায় তারা তিন ভাগের এক ভাগ বিদ্যুত পেয়েছেন। পিজিসিবি থেকে তাদের এই পরিমাণ লোডশেডিং করতে বলা হয়েছে। তবে এর কোন কারণ না জানানো হলেও সাধারণত উৎপাদন কম হলেই এ ধরনের নির্দেশনা আসে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। রবিবার বিকেল ৬টা ৮ মিনিটে ঢাকার গোড়ান নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয় ঠিক এই মুহূর্তে তাদের চাহিদা ২১ মেগাওয়াট। তাদের ৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা মোটামুটি সারাদিনই ছিল বলে জানানো হয়। ঘণ্টার হিসেবে এতে করে দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে চার ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। লোডশেডিংয়ের একই ধরনের নির্দেশনা স্ক্যাডা থেকে দেয়া হয়েছে বলে জানান, গোড়ান সাব-স্টেশন। ৬টা ১২ মিনিটে জানানো হয় তাদের সারাদিনই লোডশেডিং করার নির্দেশনা ছিল। উৎপাদন কম থাকায় এই নির্দেশনা বলে জানান দায়িত্বরত ব্যক্তি। পিডিবির কর্মকর্তা জানান, বিবিয়ানা, মেঘনাঘাট, আশুগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ কয়েকটি বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়মিত সংরক্ষেণের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, রমজানে বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এতে কিছুটা উৎপাদন কম হচ্ছে। তবে এই সঙ্কট শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কিশোরগঞ্জে বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ায় অন্তত ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে এতে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়েছে। তবে এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিতরণ সীমাবদ্ধতা।
×