স্টাফ রিপোর্টার ॥ কেরানীগঞ্জের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে আটক ২৮ সমকামী যুবককে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। শনিবার শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাইরুজ তাসনীম জামিনের আবেদন নাকচ করে আসামিদের দুদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এ সময় সৈয়দ শাহ আলমসহ কয়েক আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করে আসামিদের জামিন চান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবীর বাবুল রিমান্ড আবেদন সমর্থন করেন।
এদিকে সমকামিতার অভিযোগে আটক করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে মাদক আইনে। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। কারণ গ্রেফতারের সময় ‘সমকামিতার অভিযোগ’র কথা বললেও তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছে র্যাব। শনিবার র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর তখন বলেছিলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ২৮ যুবককে আটক করা হয়। তারা নিজেদের সমকামী বলে স্বীকার করেছে। আটকের পর র্যাব তাদের কেরানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। গ্রেফতারদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার পুলিশ তাদের যখন ঢাকার আদালতে নিয়ে আসে তখন তাদের মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালতে পুলিশের প্রধান পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার এসআই এসএম মেহেদী হাসান গ্রেফতার যুবকদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার আসামি হিসেবে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চান।
মাদক আইনে মামলার বিষয়ে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর মাতুব্বর বলেন, অভিযানের সময় তারা সেখানে সমকামিতায় লিপ্ত ছিল বা মিলিত হয়েছিল এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের মাদক সেবনরত অবস্থায় কিছু মাদকসহ পাওয়া যায়। তাই তাদের মাদক আইনের মামলায় আদালতে চালান করা হয়েছে। তবে যুবকরা দুমাস অন্তর প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ওই কমিউনিটি সেন্টারে ‘সমকামিতার উদ্দেশে’ জড়ো হতেন বলে স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়ে ওই অভিযান চালানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হলেও বাংলাদেশের আইনে ‘প্রকৃতি নির্ধারিত নিয়মের বাইরে গিয়ে’ যৌন সম্পর্ককে দ-নীয় অপরাধ বিবেচনা করা হয়েছে।