ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনা সভা

শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধারা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২১ মে ২০১৭

শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধারা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঠিক সময়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দক্ষ নেতৃত্বগুণে দেশকে তিনি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তার সময়েই মুক্তিযোদ্ধারা সবচেয়ে বেশি মূল্যায়িত হয়েছে। নিজেদের স্বার্থেই তাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধারা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে। দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধের গর্ব অক্ষুণœ রাখতে হবে। সমাজে সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। নিজের সম্মানকে নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলস্থ রূপায়ান করিম টাওয়ার সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশন আয়োজিত শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধরা অংশ নেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম (এসপি মাহবুব) বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার কন্যা জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করে চলছেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ আজ প্রশংসিত। তবে আকাশে যে কালো মেঘ দেখছি তা নিয়ে কথা বলতে চাই। স্বাধীনতার যে গর্ব, সেই গর্বকে খর্ব করতে চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। আমরা তা হতে দিব না। সোনার বাংলার স্বপ্নকে নৎসাৎ করার জন্য একদল ষড়যন্ত্র করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে, সরিয়ে দিতে হবে এবং তা পারবে মুক্তিযোদ্ধারাই। তিনি বলেন, আমরা যে ভুল একবার করেছি, তা দ্বিতীয়বার করতে চাই না। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা তার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাবে। স্বাধীনতাবিরোধী ওইসব হায়েনাদের আমরা আবারও পরাজিত করবই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোঃ আবু তারিক বলেন, দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে আমরা প্রথম থেকেই অবহেলিত। মুুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা কী সম্মান নিয়ে থাকব, না অসম্মান নিয়ে থাকবÑ তা আমাদেরই ভাবতে হবে। ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাবতীয় গৌরবকে কলঙ্কিত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী চক্রের ইন্ধনে কিছু মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলে তৎপর রয়েছে, যা গোটা মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব ও ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করার হীন অপচেষ্টা। এসব অপকর্ম বর্তমান সরকারকেও বিব্রত করছে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবকে অক্ষুণœ রাখতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকা-ে মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক সহায়তা করবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত করতে মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যাবে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্চন ঘোষাল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নামে বাংলাদেশ থাকলেও দেশটিকে পাকিস্তানীকীকরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের মতো পরিচালিত হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী নির্বাচনে তাকে জয়ী করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ন্যাশনাল এফ. এফ. ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মহিউদ্দিন আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ মোঃ মহিউদ্দিন, প্রফেসর ডাঃ এম এ সালাম খান, আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, রুহুল আমিন মজুমদার প্রমুখ।
×