ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পাটের বস্তায় পণ্য রফতানির আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২১ মে ২০১৭

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পাটের বস্তায় পণ্য রফতানির আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ ১৭টি পণ্য পাটের বস্তায় করে রফতানির আহ্বান জানিয়েছে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ। আগামী ২৬ মে থেকে পাটের বস্তায় করে পণ্য রফতানি করতে ভারতীয় রফতানিকারকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে ভারতের হিলি এক্সপোটার্স এ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনকে ওই চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় ওইসব পণ্য রফতানি করলে পণ্য গ্রহণ করা হবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ দূষণের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার পলিব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ এ জাতীয় ১৭টি পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী সড়কপথে, পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। ফলে তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, সরকার সম্প্রতি চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ এ জাতীয় ১৭টি পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু ভারতীয় রফতানিকারকরা এখনও চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন প্লাস্টিকের বস্তায় করে রফতানি করছে। এ কারণে আমদানিকারকরা ওই ১৭টি পণ্য পাটের বস্তায় করে রফতানি করতে ভারতীয় রফতানিকারকদের চিঠি দিয়েছি। সম্পদ আহরণে বিকৃত প্রতিযোগিতা চলছে ॥ খলীকুজ্জমান অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে সম্পদ আহরণের বিকৃত প্রতিযোগিতা চলছে মন্তব্য করে এর থেকে বেরিয়ে আসার পথ অনুসন্ধানে গুরুত্বারোপ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফের প্রধান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। শুক্রবার বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি শিক্ষা সমস্যা ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলানায়তনের ওই সেমিনারে খলীকুজ্জমান বলেন, অর্থ উপার্জনের জন্য দখল থেকে শুরু করে সব হচ্ছে। যেন বিকৃত চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, অন্যের অধিকার ক্ষুণœ করার অধিকার আমাদের কারও নেই। সুস্থ সমাজ পেতে হলে সবাইকে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। পরিবর্তন আনতে হলে তরুণ প্রজন্মের দিকে নজর দিতে হবে। অর্থ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় জন্য দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এ অর্থনীতিবিদ। সেমিনারে উত্থাপিত বিষয়বস্তুর ওপর ৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সেমিনারের শুরুতে অর্থনীতিতে অবদানের জন্য চার অর্থনীতিবিদকে ‘সিলভার জুবিলী-২০১৭’ সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা পাওয়া চার অর্থনীতিবিদ হলেনÑ মরহুম অধ্যাপক ড. মোজাফফর আহমদ, মরহুম প্রফেসর ড. এটিএম জহুরুল হক, প্রফেসর ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী ও প্রফেসর সরদার সৈয়দ আহমেদ। সম্মাননা তুলে দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
×