ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক

বগুড়ায় খেজুরের পাইকারি বাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২১ মে ২০১৭

বগুড়ায় খেজুরের পাইকারি বাজারে অস্থিরতা

মাহমুদুল আলম নয়ন, বগুড়া অফিস ॥ সারাদিন রোজার পর ইফতারের তালিকায় খেজুর না থাকলে ইফতার পরিপূর্ণ হতে চায় না। রমজান মাসে এর কদরও বেশি। আর পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই বগুড়ায় খেজুরের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের খেজুরের দাম। অথচ রমজানের বেশ কয়েক মাস আগেই বেশির ভাগ খেজুর আমদানি হয়ে থাকে। আর এবার রমজানের আগেই খেজুরের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক মাসের ব্যবধানে মান ভেদে প্রতিকেজি খেজুরের দাম ইতোমধ্যে বেড়েছে ২০ থেকে চল্লিশ টাকা। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কম ও মাঝারি মানের খেজুর। রমজান মাস শুরু হলে এর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন খেজুর ব্যবসায়ীরা। খেজুরের দাম লাফিয়ে বাড়ার কারণ হিসেবে বৃহৎ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকারা দাবি করেছেন, দেশের বাইরের বাজারে (আন্তর্জাতিক বাজার) খেজুরের দাম বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও বন্দরে আমদানিকৃত খেজুরের এ্যাসেসমেন্ট রেট বৃদ্ধিকে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজান মাসেই খেজুরের মূল চাহিদা থাকে। আর এসব খেজুর আমদানি করা হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এর বাইরে আরও কয়েকটি দেশ থেকে খেজুর আমদানি হয়ে থাকলেও তার পরিমাণ তুলনামূলক অনেক কম। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে খেজুরের সবচেয়ে বড় বাজার বগুড়ায়। এখান থেকে পার্শ¦বর্তী জেলাগুলোর বেশিরভাগ খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা খেজুর নিয়ে থাকেন। কেজি কার্টনের খেজুরের আবার বিভিন্ন মান ও দাম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দাবাস, লুলু, রিজিস ও নাগাল। এয়াড়া ৫ থেকে ৯ কেজির প্যাকেটে আসা বিভিন্ন খেজুর রয়েছে। এগুলো হলো- মদিনা খেজুর, মরিয়ম খেজুর, তিউনিশিয়া খেজুরসহ বিভিন্ন নামের খেজুর। ব্যবসীয়রা জানান, কার্টন খেজুরের (প্রতি কার্টনে ১০ কেজি) দাম ও মান মাঝারি হওয়ায় এ খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এর পরে চাহিদা রয়েছে ইরাকী বস্তা খেজুরের। গত বছর বস্তা খেজুর প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার রমজান মাস শুরু হওয়ার অনেক দুই সপ্তাহ আগে থেকে তা ৮০ টাকা কেজি দরে মোকাম থেকে বিক্রি হচ্ছে।
×