ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোকেয়া সরণিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির ‘উৎসব’

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২০ মে ২০১৭

রোকেয়া সরণিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির ‘উৎসব’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা মেট্রোরেল প্রকল্পের সঙ্গে এবার যোগ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। দুই প্রতিষ্ঠান পাল্লা দিয়ে রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে সড়কের দুই পাশে একযোগে খোঁড়াখুঁড়ি করছে। এতে সড়কটিতে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজটের। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের পাশে রোকেয়া সরণিতে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। সড়কের পূর্বদিক খুঁড়ছে মেট্রোরেল প্রকল্প, আর ড্রেনেজ পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য পশ্চিম দিকটা খুঁড়ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির ঠিকাদাররা মোটা মোটা পাইপ রেখেছেন ফুটপাথের পাশে। দুটি প্রতিষ্ঠানই ভারি যন্ত্র ব্যবহার করছে এ কাজে। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে প্রশস্ত সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছয় লেনের সড়ক পরিণত হয়েছে দুই লেনে। এর ফলে যানবাহন চলছে মাত্র দুটি লেন ধরে। যানবাহনের উপস্থিতি বেড়ে গেলেই শুরু হচ্ছে যানজট। সড়ক সংলগ্ন একটি নার্সারির কর্মী নূর হোসেন বলেন, ‘এতদিন মেট্রোরেলের জন্য সড়কের একদিকে খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে। এখন দু’দিকেই খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। বিহঙ্গ পরিবহনের চালক মোঃ পান্না বলেন, সকালে ও সন্ধ্যায় এখানে ভয়াবহ যানজট দেখা দেয়। এছাড়া বৃষ্টিতে সড়কের গর্তগুলোতে পানিতে ভরে গেলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।’ আগারগাঁও থেকে উত্তর দিকে তালতলা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর হয়ে পল্লবীর দিকে যাওয়া সড়কের অবস্থাও ভাল নেই। এসব এলাকায় সড়কের একদিক খুঁড়েছে মেট্রোরেল। ডেসকোও খুঁড়েছে কিছু অংশ। আরেক দিক খুঁড়েছে সিটি কর্পোরেশন। সড়ক খুঁড়ে গর্ত ভরাট করা হলেও সিটি কর্পোরেশন সেখানে কার্পেটিং করে দেয়নি। ফলে সড়ক দিয়ে যানচলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে। মেট্রোরেল প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় ছয় মাস ধরে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করে ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কাজ চলছে। এরপর এ বছরই শুরু হবে প্রকল্পের মূল কাজ তথা পিলার স্থাপন। তখন জনভোগান্তি আরেকটু বাড়তে পারে। ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো এ্যালাইনমেন্টব্যাপী চলবে এ খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। ডিএনসিসি জানিয়েছে, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে রোকেয়া সরণি খোঁড়া হচ্ছে। সড়ক খুঁড়ে ড্রেনেজ লাইন নেয়া হচ্ছে। ১ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।
×