ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সময়-খরচ বাড়লেও দুর্ভোগ কমছে না মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২০ মে ২০১৭

সময়-খরচ বাড়লেও দুর্ভোগ কমছে  না মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সময় যাচ্ছে, খরচ বাড়ছে; কিন্তু কমছে না দুর্ভোগ। রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের ব্যয় আরও একবার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু পুরো কাজ শেষ হয়ে কবে এ রাস্তায় চলাচলকারীদের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে তা কেউ বলতে পারছে না। এই প্রকল্প থেকে কিছুদূরে রামপুরা সড়কের সংস্কার এবং বাড্ডায় নির্মাণাধীন ইউলুপটিও দুর্ভোগে ফেলছে নগরবাসীকে। পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু দেখে সেটাই মনে হবে। মৌচাক মোড় থেকে মালিবাগ রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার একপাশ পুরোটাই বন্ধ। যানবাহন তো চলেই না হেঁটে চলাও দুষ্কর। তিন ভাগে চলা এই ফ্লাইওভারের দুটি অংশের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে রামপুরা থেকে মালিবাগ-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ- শান্তিনগর অংশের কাজ। ২০১৩ সালের গোড়ায় নির্মাণ শুরুর সময় বলা হয়েছিল কাজ শেষ হবে ২ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ ২০১৪র শেষে। কিন্তু ২০১৫ এবং ২০১৬ শেষে চলতি বছরেও কাজ চলছেই। এরমধ্যে ঠিকাদারের চাহিদামতো ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চলাচলকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ। ভুক্তোভাগীরা বলেন, আমরা আর কত সহ্য করব। একের পর এক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হচ্ছে কিন্তু এর কোন প্রতিকার নেই। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এই মুহূর্তে রাজধানীতে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের এলাকার নাম মালিবাগ-মৌচাক-মগবাজার এলাকা। সাধারণ জনগণ বলছেন, উন্নয়নের স্বার্থে ভোগান্তি কিছুটা হলেও সহ্য করতে হবে এটা অনেকটাই স্বাভাবিক; তবে প্রকল্পের ধীরগতির কারণে সেই ভোগান্তি যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর না হয়, যেমনটা হচ্ছে এই ফ্লাইওভারের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্মাণ কাজ কীভাবে চালানো হবে সেই পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল তাই প্রকল্পটি নাগরিক ভোগান্তি বাড়িয়েছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক বলেন, নিয়ম হলো আগে ইউটিলিটি লাইন সরিয়ে তারপরে কাজে নামা। কিন্তু আমরা এখন কাজও করছি, ইউটিলিটি লাইনও সরাচ্ছি যেটি দুর্ভোগের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। একই রকম দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে বাড্ডায় নির্মাণাধীন ইউলুপও। রামপুরায় রাস্তার সংস্কার কাজে এই গরমে যানজট আর ধুলোবালিতে নাভিশ্বাস পথচারীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা আর ভূগর্ভস্থ সেবা লাইন সরাতে দীর্ঘ সময় লাগায় ইউলুপ নির্মাণের সময় বেড়েছে। হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, গত বছরের নবেম্বর থেকে আমাদের উপরের কাজগুলো শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের অক্টোবরের মধ্যেই কাজটা আমরা শেষ করতে পারব। নগরবাসীর আক্ষেপ, জনগণের সুবিধার জন্য ফ্লাইওভার বা ইউলুপ নির্মাণের কাজগুলো এখন নিজেরাই বড় অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
×