ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেইনি ॥ ভিলিয়ার্স

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২০ মে ২০১৭

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেইনি ॥ ভিলিয়ার্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। গত বছর জানুয়ারিতে সর্বশেষবার সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন। এরপর থেকে আর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ইনজুরি ও পারিবারিক কারণে মাঝখানে ওয়ানডে ও টি২০ ক্রিকেটেও অনিয়মিত ছিলেন। তবে এ দুই ফরমেটে আবার নিয়মিত হয়েছেন তিনি। এ কারণে গুঞ্জন উঠেছে হয়তো আর দীর্ঘ পরিসরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন না ভিলিয়ার্স। কিন্তু এমন কথা সরাসরি নাকচ করেছেন প্রোটিয়া এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। আগামী বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজে আবার খেলার জন্য প্রস্তুত আছেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গত বছর আগস্টে ভিলিয়ার্স দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের (সিএসএ) নির্বাচকদের জানিয়েছিলেন ইনজুরির কারণে আপাতত ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকতে চান তিনি। পুরো বছরেই আর খেলেননি তিনি। গত বছর অক্টোবর-নবেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরেও তাকে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু পুরোপুরি প্রস্তুত না নিয়ে আর খেলেননি। শেষ পর্যন্ত তার অনুপস্থিতিতে ফাফ ডু প্লেসিস অস্ট্রেলিয়া সফরে দলকে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিতে এসেছেন সিরিজ। পরের সিরিজেই ভিলিয়ার্সের ফেরার কথা ছিল। সে সময় ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল সফল হওয়া অধিনায়ক প্লেসিস কী তবে আবার নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন ভিলিয়ার্সের কাছে? শেষ পর্যন্ত ওই বিতর্কে ভিলিয়ার্স জানান, তিনি আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। নেতৃত্ব ইস্যু সমাধান হয়ে যায়, কিন্তু ভিলিয়ার্স টেস্টে ফেরেননি। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি স্বল্প পরিসরের ক্রিকেটে ফিরে আসেন। মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও না খেলার ঘোষণা দেন। সে সময় জুলাই-আগস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ফিরে আসার কথা জানিয়েছিলেন। ঠিক তারপরই সফরকারী বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও অক্টোবরে খেলার কথা ছিল। কিন্তু এখন ভিলিয়ার্স এ দুটি সিরিজেও খেলার তেমন উৎসাহ দেখাননি। আগামী মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেবেন ভিলিয়ার্স। টেস্ট ক্রিকেটে তার ভবিষ্যত নিয়ে যখন চারদিকে নানা গুঞ্জন সে সময় ভিলিয়ার্স দাবি করলেন এখনও সাদা পোশাকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়নি তার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অবসর নেইনি। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে কোন পরিবর্তন আনতে উৎসাহী নই। নিজেই আমি অনিশ্চিত কবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারব।’ আপাতত স্বল্প পরিসরের ম্যাচগুলোর দিকেই বেশি মনোযোগ তার। এ বছর ৩৩ বছর বয়সী ভিলিয়ার্স সেটাই অব্যাহত রাখতে চান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে গত বছর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। যাতে ট্রফি জেতার সুযোগ বেড়ে যায় এবং একটি সফলতম দলের অংশ হতে পারি। শারীরিকভাবে এটা বুঝতে পারছি যে পারিপার্শ্বিক অন্য বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে যেখানে আমি নিজের সেরাটা দিতে পারব এবং খুব বেশি ক্লান্তি অনুভব করব না সেটাই করে যাব।’
×