ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাইব্রেকারে জিতে গ্রুপসেরা জামাল, রাসেল গ্রুপ রানার্সআপ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২০ মে ২০১৭

টাইব্রেকারে জিতে গ্রুপসেরা জামাল, রাসেল গ্রুপ রানার্সআপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই ক্লাবের নামের মধ্যেই ‘শেখ’ শব্দটি আছে। শুক্রবার ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব যখন মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের, তখন তাদের সামনে ছিল গ্রুপসেরা হওয়ার সমীকরণ। সেই সমীকরণে জয়ী হয়েছে জামালই। তারা টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে। পাঠক নিশ্চয়ই বিভ্রান্তিতে পড়েছেনÑ ব্যাপারটা কি, গ্রুপ পর্বের খেলায় টাইব্রেকার কিভাবে হয়? মূল ব্যাপারটা হচ্ছেÑ জামাল এবং রাসেল দু’দলেরই শুক্রবারের ম্যাচের আগে ম্যাচ (১), গোল (৩/০) এবং পয়েন্ট (৩) সমান ছিল। তারা এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফরাশগঞ্জকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে। এতে করে জামাল-রাসেল উভয়দলই শেষ আটে নাম লেখানো নিশ্চিত করেছিল। প্রশ্ন ছিল, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কে হবে, তা নিয়ে। শুক্রবার তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। এ প্রসঙ্গে ম্যাচ কমিশনার ইব্রাহিম নেসার বলেন, ‘টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী দুইদলের গোল ও পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে খেলার ফল নিষ্পত্তি হবে টাইব্রেকারে। তবে এজন্য দু’দলকে কোন অতিরিক্ত সময় খেলতে হবে না।’ শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে এ ধরনের ঘটনা বিরল। আর সেই বিরল ঘটনাই ঘটিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে কোয়ার্টারে গেল শেখ জামাল। প্রথম কোয়ার্টারে ২৪ মে গ্রুপ ‘সি’র রানার্সআপ মোহামেডানের মুখোমুখি হবে গ্রুপ ‘বি’র চ্যাম্পিয়ন জামাল। আর গ্রুপ ‘বি’র রানার্সআপ রাসেল ২৫ মে গ্রুপ ‘সি’র চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীকে মোকাবেলা করবে। টাইব্রেকারে জামালের হয়ে গোল করেন রাফায়েল, আলাউদ্দিন, জাহেদ পারভেজ এবং মমদৌ বাহ। রাসেলের একমাত্র গোলটি করেন অরূপ কুমার বৈদ্য। মিস করেন এলিটা বেঞ্জামিন এবং খালেকুজ্জামান। ম্যাচের শুরুর দিকেই বেশ কবার বল নিয়ে বক্সে ঢুকেছিলেন জামালের ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু আক্রমণ সীমাবদ্ধ ছিল বক্সেই। রাসেলের শক্ত রক্ষণ ভেঙ্গে গোলের কোন সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেনি জোসেফ আফুসির শিষ্যরা। একই কথা প্রযোজ্য রাসেলের বেলাতেও। যদিও শুরু থেকেই দু’দলের লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। উভয়দলই পরস্পরের সীমানায় হানা দেয় বল নিয়ে। কিন্তু আসল কাজের কাজটিই করতে পারেনি। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। প্রথমার্ধের পুনরাবৃত্তিই ঘটে দ্বিতীয়ার্ধেও। দু’দলই আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকলেও কিছুতেই হচ্ছিল না কাক্সিক্ষত গোল। দু’দলের ফরোয়ার্ডরাই ব্যর্থ হয়েছেন বক্সে ডিফেন্ডারদের কাছে এসে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে খেলার ফল নিষ্পত্তিতে অনুষ্ঠিত হয় টাইব্রেকার। যা বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে এর আগে ঘটেছে কি না সন্দেহ। আর এই বিরল টাইব্রেকারে জয়ী হয়ে শেষ হাসি হাসে ‘বেঙ্গল ইয়েলোজ’ খ্যাত শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব।
×