ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী জয়ে প্রভাব বাড়লেও অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিরসনে উদ্যোগ নেই

ভারতে বিজেপির তিন বছরের শাসনে সাফল্য ব্যর্থতার চিত্র

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২০ মে ২০১৭

ভারতে বিজেপির তিন বছরের শাসনে সাফল্য ব্যর্থতার চিত্র

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শাসনের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ সময়ের মধ্যে ভারতীয় রাজনীতিতে তার দলের অপ্রতিরোধ্য উত্থান নিশ্চিত করার জন্য অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণে বাকি রাখেননি কিছুই। খবর টাইমস নিউজ অনলাইনের। তিনি ২০১৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অর্থনৈতিক সংস্কারসহ তার বাগ্মিতাপূর্ণ দক্ষতা বিজেপির জন্য কাজ করেছে বিস্ময়করভাবে এবং দলের অবস্থানকে কেবল হিন্দুত্বের প্রতীক থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিধিসীমায় সবার কাছে ভীতিকর একটি দলে পরিণত করেছেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদিই তার প্রধান প্রতিযোগীদের নিরুৎসাহিত করতে সমর্থ হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে তার বিজয় এরই প্রমাণ দেয় যে, জাতি ‘মোদি ঢেউ’-এর তাল সুরে গাইছে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং দলের কর্তৃত্ববাদসুলভ নির্দেশ আরোপের জন্য এ গেরুয়া বসনের দলটি এখনও প্রতিটি সময়ে বিষয়গুলো ধরে রাখতে সমর্থ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরুদ্বিগ্ন প্রচেষ্টার কারণে তিন বছরে বৈশ্বিক ক্ষেত্রে বিশাল অর্জন এসেছে দেশে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, এ সময়ে ভারতে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক এ্যালায়েন্স বা এনডিএ সরকার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য দক্ষতার সঙ্গে একটি কৌশল নিরূপণ করেছে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম ভাষণেই স্পষ্ট করেছেন যে, এটা এমন এক সরকার যে সরকার গ্রাম, দরিদ্র মানুষ ও কৃষকের প্রতি উৎসর্গীরত। কিন্তু গত এক বছরজুড়ে দেখা গেছে, দেশের বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর কৃষকরা অত্যন্ত কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকার কৃষকদের কল্যাণের জন্য ২০১৭ সালের বাজেটে বেশকিছু পদক্ষেপ ও প্রকল্প গ্রহণ করলেও এটা অস্বীকার করা যায় না যে, দেশের অপরিহার্য অংশ কৃষক সমাজের দুর্দশা হ্রাস পায়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে দেখা যা, বিভিন্ন প্রদেশে ২০১৪-১৫ সালে কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্যা ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে।
×