ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র পঞ্চাশ গজ

মার্কিন বিমান লক্ষ্য করে ধেয়ে আসল চীনা যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২০ মে ২০১৭

মার্কিন বিমান লক্ষ্য করে ধেয়ে  আসল চীনা যুদ্ধবিমান

মার্কিন সামরিক বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার পূর্ব চীন সাগরের আকাশসীমায় দুটি চীনা জঙ্গীবিমান বিপজ্জনকভাবে মার্কিন সামরিক বিমান ডব্লিউ সি-১৩৫ মডেলের পাশ ঘেঁষে উড়ে গেছে। চীনা বিমান দুটি এত কাছাকাছি এসে পড়েছিল যে, উভয় পক্ষের তিনটি বিমানের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র পঞ্চাশ গজের মতো। এ ঘটনাকে মার্কিন সেনাবাহিনী ‘অপেশাদারিত্ব’ বলে উল্লেখ করেছে। খবর বিবিসির। এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল লোরি হজ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চীনকে জানানো হয়েছে। যে এলাকায় এই দুই দেশের যুদ্ধবিমান কাছাকাছি অবস্থানে থেকে বিপজ্জনকভাবে উড়ে গেলÑ সেটি আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যে পড়লেওÑতা নিয়ে চীন মার্কিন স্বার্থের দ্বন্দ্ব বহু দিনের। কেননা পূর্ব চীন সাগরের জলসীমা চীনের মূল ভূখ-সংলগ্ন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ২০০ নটিক্যাল মাইল জলসীমা পর্যন্ত চীন তার সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করতে পারে কিন্তু তা আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশটি সাগরের নিচে প্রবাল প্রাচীর অবলম্বন করে বেশকিছু কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করেছে। যা নিয়ে পার্শ্ববর্তী জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া অন্যান্য দেশ আপত্তি উত্থাপন করেছে। অন্যদিকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্রতায় আবদ্ধ দেশের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে বিভিন্ন অজুহাতে গোয়েন্দা বিমান ও বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র তার ডব্লিউ-সি বিমান পাঠানোর পক্ষে এই অজুহাত দাঁড় করিয়েছে যে, তারা সেখানে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপ করে দেখছিল। অন্য এক ভাষ্যে মার্কিন বিমানবাহিনী বলেছে যে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের বিমান সেখানের আকাশসীমায় অবস্থান করছে এবং এটি তাদের নিয়মিত টহল। যে কারণেই হোক দুইজন চীনা পাইলটের মার্কিন বিমানের এত কাছাকাছি চলে আসা ছিল ভয়াবহ বিপজ্জনক পদক্ষেপ। তীব্র গতি ও নৈকট্যের হেরফের ঘটলে বিপদ সংশোধনের আর কোন সুযোগ থাকত না। রাজনীতি ও সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, চীন সামরিক বিমানের মার্কিন ডব্লিউ-সি-বিমানের এত কাছাকাছি চলে আসা, অসতর্কতা বা অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের কোনটির ভেতরেই পড়ে না। তারা সচেতনভাবেই এটি করেছে এবং এর মাধ্যমে চীন, যুক্তরাষ্ট্রকে এই এলাকায় সীমা লঙ্ঘন না করার এ ধরনের বার্তা জানিয়েছে। পরে মার্কিন সামরিক বাহিনী সূত্রে বলা হয়েছে যে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
×