বিডিনিউজ ॥ অভিভাবকদের প্রতিযোগিতার আগ্রহের কারণে শিশুদের ধারণক্ষমতার কথা চিন্তা করা হয় না উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, এতে করে শিশুদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকাল শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে জীবনের শুরুতেই চরম প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ প্রতিযোগিতায় শিশুদের চেয়ে তাদের মা-বাবা ও অভিভাবকদের আগ্রহই বেশি দেখা যায়। শিশুদের ধারণক্ষমতা চিন্তা না করে কে কয়জন টিউটরের কাছে পড়ছে বা কে কত বেশি নম্বর পেল সেটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। এতে শিশুদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হয়।’
শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘ফুলকে যেমন পরিপূর্ণভাবে ফুটতে দিলে তা চারদিকে সুগন্ধ ছড়ায় তেমনি শিশুদের তাদের মতো করে বড় হওয়ার সুযোগ দিলে তারা সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
শিশুদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠান একান্তই তোমাদের। নানা বিষয়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছ তোমরা।
আশা করব তোমরা সারাজীবন প্রতিযোগিতার এই মানসিকতাকে ধরে রাখবে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবে। তাহলেই জীবনের সকল প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাবে। এখন থেকেই সত্যকে-সত্য আর মিথ্যাকে-মিথ্যা বলতে চর্চা করবে।
শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ মহিলা শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাসিমা বেগম। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পদক ও সনদ বিতরণ করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: