ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৯ মে ২০১৭

ঝলক

রাজা যখন যাত্রীবাহী বিমান চালক কোন দেশের রাজা বিমান চালাচ্ছেন- এটা দেখতে বা শুনতে খুবই অবাক লাগে। এর আগেও ইউরোপের অনেক রাজার বিমান চালানোর কথা শোনা গেছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের যুবরাজদের আছে যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা। তবে রাজপরিবারের সদস্যদের যাত্রীবাহী বিমান চালানোর ঘটনা বিরল। তবে এ সবই মিথ্যা প্রমাণ করে গত ২১ বছর ধরে সেটিই করে যাচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম আলেকজান্ডার। এতদিন ছোট আকারের বিমান চালালেও এবার বোয়িং-৭৩৭ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এতদিন ধরে উইলেম আলেকজান্ডার অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের বিমানগুলো মূলত চালাতেন পাইলটের লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য। বোয়িংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে শীঘ্রই নতুন প্রশিক্ষণ শুরু হবে তার। নেদারল্যান্ডসের এয়ারলাইন সংস্থা কেএলএমের হয়ে বোয়িং চালাবেন তিনি। ডাচ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি মাসের শেষে রাজার নতুন প্রশিক্ষণ শুরু হবে। মাসে দুবার করে সহকারী পাইলট হিসেবে কাজ করতে চান আলেকজান্ডার। এক সাক্ষাতকারে রাজা বলেন, ‘আমি কেএলএমের অতিথি পাইলট হিসেবে কাজ করতে চাই। বোয়িং ৭৩৭-এর মতো বিমান হলে খুবই ভাল হয়। এর চেয়ে বড় আকারের উড়োজাহাজ হলে অবশ্য আমার জন্য অসুবিধা হবে। বড় দৈর্ঘ্যরে ফ্লাইট চালানো সম্ভব নয়। কারণ কখনও জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হলে আমাকে দ্রুত নেদারল্যান্ডসে ফিরে আসতে হবে।’ মজার বিষয় হলো বিমানের ককপিটে আলেকজান্ডার থাকলেও তা জানতে পারবেন না যাত্রীরা। নিরাপত্তাজনিত কারণেই এ বিষয়ে কোন ঘোষণা দেয়া হবে না। সূত্র : এএফপি ‘জোনাকি’ ব্যাকটেরিয়া খুঁজবে ল্যান্ডমাইন এবার ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজটাকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। যারা ‘জোনাকি’র মতোই আলো ছড়াতে পারে অন্ধকারে। আর সেই আলো দিয়েই তারা দিতে পারে সিগন্যাল। জানাতে পারে, কোথায় মাটির নিচে গোপনে পোঁতা রয়েছে ল্যান্ডমাইন। ফলে এখন থেকে ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজটা করা যাবে অনেক বেশি নিরাপদেই। এক রিপোর্টে জানা যায়, এই মুহূর্তে বিশ্বের ৭০টি দেশে কম করে ১০ কোটি ল্যান্ডমাইন পোঁতা রয়েছে। যার বিস্ফোরণে বছরে গড়ে আহত হন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। ল্যান্ডমাইন খোঁজা, এগুলো নিষ্ক্রিয় করা এবং নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজটা বেশ বিপজ্জনক। শ্রমিকও সুলভে পাওয়া যায় না। কাজটা সময়সাপেক্ষও বটে। এ সমস্যা মেটাতেই এই শতাব্দীর প্রথমদিকে গবেষণা শুরু হলেও নজরকাড়া আবিষ্কারটি হয়েছে একেবারে সম্প্রতি। ইসরাইলের জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি বিশেষ ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ব্যাকটেরিয়া (জিএম ব্যাকটেরিয়া) বানিয়েছেন, যা মাটির নিচে কোথাও লুকোনো ল্যান্ডমাইনের গন্ধ পেয়ে জোনাকির মতো জ্বলে উঠে দিতে পারে সিগন্যাল। তার পর ঠিক কোন জায়গায় সেই ল্যান্ডমাইন পোঁতা রয়েছে তা ধরা পড়ে যায় লেজার রশ্মির তীক্ষè নজরে। সূত্র : নেচার-বায়োটেকনোলজি
×