ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাজার উন্নয়নে চার প্রস্তাব করেছে কমিশন

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৯ মে ২০১৭

বাজার উন্নয়নে চার প্রস্তাব করেছে কমিশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে চার দফা প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন অর্থমন্ত্রীর কাছে চার দফা প্রস্তাব জমা দেন। কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে কমিশন অর্থমন্ত্রীর কাছে চার দফা সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। চার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছেÑ বিশেষ স্কিম কমিটি কর্তৃক পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণীত তালিকার আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা রাখার সময় আগামী ১ জুলাই, ২০১৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানো। কারণ ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন, ২০১৭ তারিখে শেষ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কাছে কমিশন যুক্তি দিয়েছে, আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ বাড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’-এর মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ তারিখে শেষ হচ্ছে। তাই ৯০০ কোটি টাকা এ তহবিলটির মেয়াদ আরও দুই বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে কমিশন প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে, নতুনভাবে স্কিমের সুবিধা গ্রহণকারী বিনিয়োগকারীগণ বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে এবং অবণ্টিত অর্থ বণ্টিত হবে। তহবিলটি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য এর সুদ হার ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে এতে তহবিল এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারদের সুদ হার কমবে। কারণ ৭.৫ শতাংশ সুদ হারের মধ্যে তহবিলের হার ৫ শতাংশ, আইসিবির সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ শতাংশ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকাররা পেত ১.৫ শতাংশ। আর ৬ শতাংশ করা হলে তহবিলের সুদ হার হবে ৪ শতাংশ, আইসিবি ১ শতাংশ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকাররা পাবেন ১ শতাংশ হারে। এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক এবং স্টক ব্রোকাররা দ্বিতীয়বার আবেদন করেও তহবিল থেকে অর্থ পাবেন। এ ক্ষেত্রে কমিশন বলছে, প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজদের দ্বিতীয়বার ঋণ প্রদানে কোন বাধা নেই। তাই প্রথমবার আবেদন করে যারা তহবিল থেকে ঋণ পেয়েছে এবং যথাসময় তা পরিশোধও করেছে তাদের মধ্যে কেউ যদি আবার ঋণ পেতে আবেদন করে তাহলে তাদের সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষে দ্বিতীয়বার ঋণ প্রদান করা যেতে পারে। এতে আরও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঋণের আওতায় আসবে বলে মনে করছে কমিশন।
×