ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গলচিপায় লাশ কবরের পরিবর্তে মর্গে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৯ মে ২০১৭

গলচিপায় লাশ কবরের পরিবর্তে মর্গে

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ কবরে নামানোর আগে গোসল করাতে গিয়ে লোকজন দেখতে পেল, শাহানাজ বেগমের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন। আর তারপরেই পুলিশে খবর দেয়া হলো। ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রাম থেকে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পৌঁছে দেয়া হয়েছে পটুয়াখালী মর্গে। শাহানাজ বেগমের পরিবারের ধারণা, তাদের মেয়ে শাহানাজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর পুলিশ অপেক্ষা করছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের রিপোর্টের জন্য। এরপরই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে, এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, সাত বছর আগে লালমোহন উপজেলার চরছকিনা গ্রামের আলমগীর মিস্ত্রির মেয়ে শাহানাজ বেগমের সঙ্গে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরআগস্তি-ঘাষিরচর গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জেল হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদারের বিয়ে হয়। এ দম্পতির আনোয়ার নামে চার বছরের একটি ছেলে হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো জুয়েল হাওলাদার গত ১৫ মে সোমবার সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া সেরে মাছ ধরতে নদীতে যায়। পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে ঘরের মেঝেতে ২২ বছর বয়সী স্ত্রী শাহানাজ বেগমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে শাহানাজ বেগমের বাবাসহ আত্মীয়স্বজনরা ছুটে আসে। শাহানাজ বেগমের মৃত্যু স্বাভাবিক মেনে নিয়ে লাশ চরছকিনা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার লাশ দাফন করতে গিয়ে শাহানাজ বেগমের শরীরে পরিবারের কোন কোন সদস্য নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পায়। এরপরই তেঁতুলিয়া নদীসহ সারারাত দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে লাশ পৌঁছানো হয় মর্গে। এনজিও চেয়ারম্যান গ্রেফতার নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৮ মে ॥ সদর উপজেলার আশেকপুর বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আইটিসিএল ও এসডিএস এনজিওর চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ অশোক কুমার সিংহ জানান, ৪টি সাজা পরোয়ানা ও ৬টি জিআর গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হোসেন সিরাজী সদর উপজেলার ধুলবাড়ী গ্রামের মরহুম সবুর প্রামাণিকের ছেলে।
×