ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

১২ গ্রামের ভরসা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সাঁকো

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৯ মে ২০১৭

১২ গ্রামের ভরসা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সাঁকো

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ও রামপাশা ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খাজাঞ্চি নদী পারাপারের জন্য এলাকাবাসী দুটি স্থানে দুটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে আসছে। এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের সাকো দুটির মধ্যে বাবুনগরে নির্মিত সাঁকোটি গত সপ্তাহে ভেঙ্গে যাওয়ায় গ্রামবাসী আবার নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। জানা যায়, বাবুনগর গ্রামবাসীর অর্থ ও স্বেচ্ছা শ্রমে প্রায় ৪০ মিটার বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। উপজেলার বিলপাড়, দ্বিপবন, বাবুনগর, পাঁচঘরি, দোহাল, পালেরচক, কোনাপাড়া, নোয়াপাড়া, শ্রীপুরসহ ১২ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভাগ্য খাজাঞ্চি নদী। নদীর এপার ওপারে ১২ গ্রামের মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত দুটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নানা উপায়ে পারাপার হতে হয়। দুটি ইউনিয়নের ১২ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিলপাড় ও রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীপুরে মধ্যখান দিয়ে বয়ে যায় খাজাঞ্চি নদী। ওই নদীর ওপর রয়েছে দুটি বাঁশের সাঁকো। বর্ষাকালে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এলাকাবাসী জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা শত ওয়াদা দিলেও তা বাস্তবে তারা কখনও পূরণ করেননি। ইটভাঁটির গ্যাসে শতাধিক একর জমির ফসল নষ্ট রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ ইটভাঁটির বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে শতাধিক একর জমির বোরো ধান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী কচুক্ষেত ও কুল বাগানসহ সহ¯্রাধিক গাছ। জমির পাকা ধান পুড়ে যাওয়া ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। এমন বিপর্যয়ে স্থানীয় পরিবেশবাদীরা সরকারের কাছে দাবি করছে যত্রতত্র এমন ইটভাঁটি বন্ধ করা হোক। নতুন করে আর অনুমোদন না হয়। তা না হলে আগামীতে ভয়াবহ রূপ নিবে। সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় শাহীন ব্রিকস নামে ইটভাঁটির ইট পোড়ানোয় সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাস এক সপ্তাহ আগে রাতের আঁধারে ছেড়ে দেয় ভাঁটির মালিক। কৃষিজমির পাশে অবস্থিত এ ভাঁটির গ্যাস অন্যান্য বছর ফসল ওঠার পর ছেড়ে দিলেও এবছর ফসল না উঠতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে আস্তে আস্তে ভাঁটির আশপাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে চৌধুরীপাড়া, হাজিরডোবা ও বানিরখামার গ্রামের প্রায় শতাধিক একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধানক্ষেত। এছাড়াও কচুক্ষেত ও বরই বাগানসহ সহ¯্রাধিক গাছপালার পাতা পুড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।
×